নিরাপদ আম উৎপাদন ও রফতানিতে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি খাত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ২০শে জানুয়ারী ২০২৪


নিরাপদ আম উৎপাদন ও রফতানিতে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি খাত
আম বাগান - ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ববাজারে সুনাম বৃদ্ধি করেছে বহুবার। রফতানিযোগ্য আম নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে কার্যক্রম তেমন একটা পরিলক্ষিত হয় না। তবে এবার ঘটেছে  ভিন্ন ঘটনা। আমের মুকুল আসার আগেই নিরাপদ, রাসায়নিকমুক্ত ও রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষীদের সঙ্গে চুক্তি করে বাগান লিজ নিচ্ছে বেসরকারি পর্যায়ের মেসার্স ফার্মইমাজিনেশন (হ্যাপি হাট) প্রতিষ্ঠানটি।


দেশে উৎপাদিত আমের বড় বাজার ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন দেশ। ২০২৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ৩৭৬ মেট্রিক টন আম রফতানি হয়। ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিলো ১৩২ মেট্রিক টন ও ২০২১ সাথে রফতানিযোগ্য আমের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৫ মেট্রিক টন আম। চলতি বছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না হলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দাবি রফতানির পরিমাণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। 


এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি পর্যায়ের কোম্পানি মেসার্স ফার্মইমাজিনেশন (হ্যাপি হাট) এর  এ উদ্যোগে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে বিদেশে আম রফতানি। সচল হবে এ জেলার অর্থনীতির চাকা। রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন ও রফতানিতে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি খাত।


সম্প্রতি জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা বাজার এলাকায় ৪০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে জমির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। ৪০ বিঘা জমিতে মোট ৮ হাজার  আমগাছ রয়েছে এতে ৬ হাজার আম্রপালি ও ২ হাজার বারি-৪। 


আরও পড়ুন: ফরিদপুরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্প পরিদর্শন


কৃষকরা জানান, আমাদের বাগানে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে নাবি জাতের আম গাছ ছিল। বাগানে তেমন পরিচর্যা ছিলনা। তবে একটি প্রতিষ্ঠান এখানে যুক্ত হয়েছে। তারা বাগান পরিচর্যা করবে। তারা বিদেশে আম রফতানি করবে।


হ্যাপি হাটের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীদ বলেন, আমরা গত বছর চাষীদের নিকট থেকে আম কিনে বিদেশে রফতানি করেছিলাম। কিন্তু সেই আমের কিছুটা সমস্যা ছিল। সঠিকভাবে ফ্রুট ব্যাগিং না করায় মাছি পোকার আক্রমণ ছিল। গত বছর প্রায় ১০০ মেট্রিক টন আম রফতানি করেছি। নিজেরা নিরাপদ আম উৎপাদন করবো। এ বছর ৩০০ মেট্রিক টন আম রফতানি করতে পারবো।


আরও পড়ুন: তালতলীতে সরিষা চাষ বেড়েছে তিনগুণ


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, রফতানিকারকদের চাহিদা মত আম উৎপাদন করতে পারছেনা কৃষকেরা। যেহেতু এই বাগানটা এখন থেকে রফতানিকারকরা পরিচর্যা করবে, তাই এতে রফতানিযোগ্য আম চাষ সম্ভব হবে। গত বছর ৩৬টি দেশে বাংলাদেশের আম রফতানি করা হয়েছে, যা আগামীতে বৃদ্ধি পাবে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, কৃষকদের সাথে রফতানিকারকদের এমন চুক্তি বিদেশে আম রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তম কৃষিচর্চায় কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ জেলার আম।


জেবি/এসবি