এসএমএসের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়: ভোক্তার ডিজি


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:১৫ অপরাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৪


এসএমএসের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়: ভোক্তার ডিজি
ছবি: ‍সংগৃহীত

মোবাইল এসএমএস’র মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করা হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ডিম, ব্রয়লার মুরগির মতো চালের বাজারও নিয়ন্ত্রণ হয় মোবাইলের মাধ্যমে। আর এটা যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যক্রম নেবো।’ 


শনিবার (২৭ জানুয়ারি)  বেলা ১১টায় বরিশালের ফরিয়াপট্টি, চকবাজার এলাকার পাইকারি বাজার পরিদর্শন করেন ভোক্তার ডিজি। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।


এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, “উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েক শ কল আছে। তারা চালের বাজার অস্থির করতে জোটবদ্ধ হয়েছে। একজন দাম বাড়ালে বাকিরাও বাড়ায়। মাঝে মাঝে সুযোগ নিয়ে ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে। আর এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের।”


আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সতর্ক রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


তিনি আরও বলেন, “মোকামে চালের দাম বাড়ানোর পেছনে একটি চক্র ‘সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে’ বলে প্রচার করেছে। ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে সেই চালটা তো দুই মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে। কিন্তু, এখন ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি চার টাকা বেশি দামে যে চালটা পাওয়া যাচ্ছে তাতো নতুন করে উৎপাদন হয়নি। তাছাড়া ট্রাক ভাড়া, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন বাড়েনি। তাহলে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে ১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। আর এ অযৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।”


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারেন সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে।”


আরও পড়ুন: ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী


বরিশালের পাইকারি মার্কেটে পাওয়া খোলা ভোজ্য তেলের অপরিষ্কার ড্রাম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, “ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে লেভেলহীন ড্রামে করে পাম তেল, সুপার পাম এবং সয়াবিন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামেও বড় পার্থক্য রয়েছে।”


বাজার পরিদর্শন শেষ করে চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। এসময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘড়াই উপস্থিত ছিলেন।


জেবি/এসবি