মিয়ানমার থেকে ছোড়া মটরসেল পড়ল বাংলাদেশে, আতংকিত স্থানীয়রা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, ৩১শে জানুয়ারী ২০২৪
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মটরসেল-গুলি বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি লোকালয়ে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে।
এই ঘটনায় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউপির ভাজাবনিয়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহীনি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সশস্ত্র যুদ্ধ চলমান রয়েছে। তাদের এই সমর যুদ্ধের গোলার শব্দ ও ভিবিন্ন সময় নিক্ষিপ্ত গোলা তাদের সীমানা পেরিয়ে নাইক্ষংছড়ি'র সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়ছে।এতে নিত্যদিনের কাজে ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অবিভাবকেরা।
সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে কোনার পাড়া এলাকায় বিষ্পোরিত মটরসেলের খোসা পাওয়ার পর আজ ৩০ জানুয়ারি দিন গত রাতে ঘোনার পাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিষ্পোরিত মটরসেল এসে পড়ে। এনিয়ে স্থানীয়দের জনমনে চরম আতংক বিরাজ করলেও কোন প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভাজাবনিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা সভাপতি নুরজাহান বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পার্শ্ববর্তী সীমান্তের ওপারে কয়েকদিন পরপর গোলাগুলির ও ভারি গোলার শব্দে পুরো এলাকা কেপে উঠে। কোন সময় গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুষ্কিল। এই পরিস্থিতি ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আইস ও ইয়াবাসহ আটক ২
তুম্ব্রু কোনার পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুসিদ্দিক জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহীনি ও আরাকান বাহিনীর মধ্যে চলমান বন্দুক যুদ্ধে প্রায় ভারি গোলা বিষ্পোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেপে উঠে। মধ্য রাতে গোলাগুলি শুরু হলে ভয়ে কাঁচা ঘরের বাসিন্দারা পাড়ার বা কাছাকাছি পাকা দালানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গত কাল রাতে যখন আবারও গোলা গুলি শুরু হয়েছিল তখন অন্যের ঘরে আশ্রয় না পেয়ে সীমান্ত সড়কের ওপারে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সীমান্ত পরিদর্শন কালে বলেন, সীমান্তে শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনী সজাগ রয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি'র অবনতি ঘটলে বিপদজনক এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া অত্র এলাকায় বসবাসকারীদের আতংকিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
আরএক্স/