বিশ্ব ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪


বিশ্ব ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে জুমার নামাজ আদায় করেছেন লাখো মুসল্লি।



শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমায় এই মাঠেই অংশ নেওয়া মুসল্লিদের পাশাপাশি গাজীপুর ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার  লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।



এদিকে, নামাজের আগে ময়দানের বাইরে অজুর পানি সংকট দেখা গেছে। এতে বোতলজাত পানি কিনে অজু করেন অনেকে। এছাড়াও কিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের বিনামূল্যে পানি দেওয়া হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যবসায়ী এক বদনা পানি ১০ টাকায় বিক্রি করেন মুসল্লিদের কাছে। 


এদিন দুপুরে জুমার নামাজের আগে ইজতেমার আশপাশে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও জায়নামাজের জন্য পলিথিন, ফয়েল পেপার,  কাগজ ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। 


আরও পড়ুন: ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির প্রাণহানি



কামারপাড়া সড়কে একটি কারখানার ফটকের সামনে থাকা ওই কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ফেরদৌস  নামের একজন বালতিতে করে পানি এনে অজুর জন্য মুসল্লিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করছিলেন। তিনি জানান, গত দুই বছর যাবত তিনি ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের অজুর পানি সরবরাহ করে আসছেন। এ জন্য তিনি কোনো টাকা নেন না। এবারও পানি সরবারহ করতে দুটি নতুন বালতি, পাঁচটি মগ কিনেছেন। পানি টেনে আনা পরিশ্রমের কাজ হলেও মুসল্লিদের জন্য এ কাজ করে তৃপ্তি ও আনন্দ পান তিনি।


ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশন রোড এলাকাতে মুসল্লিদের কাছে ১০ টাকা বদনা পানি বিক্রি করছিলেন হাসেম আলী নামের একজন। তিনি বলেন, “বছরের অন্যান্য সময় আমি রিকশা চালাই। ইজতেমায় টঙ্গী এলাকায় রিকশা চলাচল এক প্রকার বন্ধ থাকে। তাই অজুর পানি সরবরাহসহ মুসল্লিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে উপার্জন করে থাকি।”


হাসেম আলী আরও বলেনবলেন, এক মহিলার মাধ্যমে দূর থেকে কলস দিয়ে পানি এনে ড্রামে মজুত করে তা মুসল্লিদের কাছে প্রতি বদনা ১০ টাকায় বিক্রি করছি। 


আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী


এছাড়া পাশেই খোলা পানি বোতলজাত করে মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি খোলা পানি দুই লিটার বোতল ভরে ২০ টাকা দরে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করেন।


শুক্রবার  দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে জুমার জামাজ শেষ হয়। নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি এবং কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের। 


তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকায় এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করছেন। চার দিন বিরতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। 


জেবি/এসবি