বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ঢাকা

এই শহরটির দূষণ স্কোর পৌঁছেছে ১৯০ এ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মানও বেশ অস্বাস্থ্যকর
বিজ্ঞাপন
রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২৭৪। এর অর্থ হয় এখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর এতেই এই তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে ঢাকা।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে এ অবস্থানে পৌঁছেছে আমাদের শহর ঢাকা।
বিজ্ঞাপন
এশিয়ার আরেক দেশ চীনের শেনিয়াং শহর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই শহরটির দূষণ স্কোর পৌঁছেছে ১৯০ এ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মানও বেশ অস্বাস্থ্যকর।
বিজ্ঞাপন
এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। পাশের দেশ ভারতের কলকাতা শহর তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছে। এবং পাঁচ নম্বরে পাকিস্তানের করাচি শহর অবস্থান করছেন।
বিজ্ঞাপন
শূন্য স্কোর থেকে ৫০ এর ভিতরে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। আর ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে ধরা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!
এ নিয়ে অনেকবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে এই শহরটি। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হলেও শীতকালে অনেক বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এই শহরের পরিবেশ ।
বিজ্ঞাপন
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংক এর কারণ হিসেবে তিনটি প্রধান উৎস- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ কাজের ধুলোকে দায়ী করেছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরে প্রতিষ্ঠান দুটি।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছরে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ এশিয়া ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের।
বিজ্ঞাপন
এমএল/