ফরিদপুরে সেচ ব্যাহত হওয়ায় পানি নিয়ে বিপাকে কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৪ অপরাহ্ন, ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ফরিদপুরে সেচ ব্যাহত হওয়ায় পানি নিয়ে বিপাকে কৃষক
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী ভাংগা উপজেলার বাকপুরা গ্রামে সেচ (পানি ব্যবস্থা) ব্যাহত হওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে ওই অঞ্চলের শত শত কৃষক। পানির অভাবে ইরি বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় শত শত বিঘা ধানের আবাদ নিয়ে কৃষক মুখ থুবড়ে পড়ছে। গত সপ্তাহে চাষাবাদের জন্য ইরি বোরো ধানের ক্ষেত প্রস্তুত করা হয়। স্থানীয় সেচ ব্যবস্থা থাকলেও শতাধিক বিঘার পর বিঘা জমিতে প্রচুরসেচ পানির প্রয়োজন হয়।


গত সপ্তাতে নলকূপটি চালু করা হলে পানির সাথে পুনরায় বেরিয়ে আসতে শুরু করে পাথর ও মোটা বালি। ক্রুটি দেখা দেওয়ায় নলকূপটির ম্যানেজার সেচ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। 


এতে করে ওই অঞ্চলের আবাদি ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যাহত হয়ে যায়। ধার দেনা করে আনা অর্থকড়ি দিয়ে কৃষক জমিতে ধান রোপন করে এখন বিপাকে রয়েছে শতাধিক কৃষক পরিবার। কৃষকের দুর্দশার প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার। 


আরও পড়ুন: ফরিদপুরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্প পরিদর্শন


উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্ল্যাগঞ্জ ইউনিয়নে বাকপুরা খামার বাড়ি বাড়ী গভীর নলকূপ একটি সেচ প্রকল্প রয়েছে। নলকূপটি ১৯৭৫ সালে স্থাপিত করা হয়। ২০১৪সালে নলকূপটির ভূগর্ভস্থ অংশের ফিল্টার ফেটে পানির সাথে ছোট ছোট পাথর উঠতে শুরু করে। নলকূপটির পরিচালনার দায়িত্বে ম্যানেজার হিসাবে রয়েছে বাকপুরা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ নূরে আলম পাইলট। তিনি ২০১৪ সালে নলকূপটি ক্রুটি দেখা দিলে নির্বাহী প্রকৌশলী (সেচ) বিএডিসি, ফরিদপুর অঞ্চল প্রধানের নিকট প্রতিকারের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দেন। 


এছাড়াও তিনি কৃষকের জন্য নতুন করে একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য বিএডিসির অনুকুলে রশিদের মাধ্যমে ৩০হাজার টাকার ডাউন পেমেন্ট জমা দেন সৈয়দ নূরে আলম পাইলট। 


এ ব্যাপারে বিএডিসির ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী ও স্থানীয় উপ-সহকারী সরেজমিন পরিদর্শন করে যান।


আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনসভা মঞ্চে শেখ হাসিনা


 স্থানীয় কৃষকরা জানান, দ্রুত আমাদের জমিতে পানির ব্যবস্থা না করা হলে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বো এবং ধান উৎপাদনে অনেক ঘাটতি হবে।


 এ ব্যাপারে নলকূপটির ম্যানেজার সৈয়দ নূরে আলম পাইলট জানান, গভীর নলকূপটি দ্রুত চালু না করতে পারলে এলাকার খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। এছাড়াও অসহায় গরীব কৃষক চরমভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমি আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি।


জেবি/এসবি