চোরাই বাইক বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে জাবি ছাত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সজীবুর রহমান: চোরাই বাইক বিক্রি করতে গিয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্র।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বাইকটি জব্দ করে ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মির্জা সোহাগ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অনলাইন মাধ্যমে এক ক্রেতার সাথে দরকষাকষি করে বাইক বিক্রি করতে যান সোহাগ। পূর্ব থেকে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছদ্মবেশে বাইকটি ক্রয় করতে যায়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেইটে বাইকটি বিক্রি করতে গেলে পুলিশের ছদ্মবেশী দলটি তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
আরও পড়ুন: ইবিতে নিয়োগ কান্ডে ভিসির সামনেই লাঞ্চনার শিকার শিক্ষকরা
এসময় আশুলিয়া থানা পুলিশ বাইকের কাগজপত্র দেখতে চাইলে সোহাগ তা দেখাতে পারেনি। এরপর পুলিশ কাগজপত্র দেখিয়ে থানা থেকে বাইক নিয়ে আসার জন্য নাম ঠিকানা চাইলে সোহাগ পুলিশকে বাইকটি দিয়ে দেন ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে বাইকটি জব্দ করে এবং ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সোহাগকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশুলিয়া থানা পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের কল পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই পুলিশ একটি বাইকসহ সোহাগকে ধরেছে। এসময় বাইকটি ক্রয় করতে ইচ্ছুক আরেকটি পক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো। পরে পুলিশ বাইকটি জব্দ করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাকে চেড়ে দিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা সোহাগের জানান, আমি বাইকটি অনলাইনে নিয়েছিলাম, তো কাগজপত্র নেওয়া হয়নি পরে পুলিশ বলতেছে ভাই কাগজপত্র দেখান। আমি কাগজপত্র দেখাতে পারিনি, পরে পুলিশ গাড়ি নিয়ে গেছে। আমি বাইকটি দিয়ে দিয়েছি। বাইকটি ইন্ডিয়ার বাইক ছিল এবং দামে কম ছিল এজন্য আমি বাইকটি কিনেছিলাম। এখন আমার টাকার প্রয়োজন ছিল এজন্য আমি অনলাইনে বাইকটি বিক্রয় করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেই আমার রিয়েল ফেসবুক আইডি এবং রিয়েল নাম্বার দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেই যেভাবে আমি অনলাইন থেকে বাইকটি কিনেছিলাম কিন্তু আমার কাছে কোন কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ বাইকটি জব্দ করে।
আরও পড়ুন: নোবিপ্রবিতে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের সংবাদ সম্মেলন
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাসান বলেন, ‘মির্জা সোহাগ বাইকটি বিক্রি করতে গেলে আমরা কাগজপত্র দেখাতে বলি। কিন্তু তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই আমরা বাইকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসছি। বিআরটিএতে আবেদন করেছি। সেখান থেকে তথ্য এলে আমরা প্রকৃত মালিককে খুজে পাবো। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে পরিচয় দেয়ায় তাদের ছেড়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, এর আগেও মির্জা সোহাগের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সেসময় মির্জা সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীকে মারধরের পর তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন।
জেবি/এসবি