সমুদ্র শহরে লাখো পর্যটকের উচ্ছ্বাস


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:০৬ অপরাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


সমুদ্র শহরে লাখো পর্যটকের উচ্ছ্বাস
ছবি: প্রতিনিধি

প্রকৃতিতে বাজছে শীতের বিদায় ঘন্টা আর নাতিশীতের বসন্তের আগমন। আর প্রকৃতির এমন কোমল পরশ নিতে পর্যটকের ঢল এখন সৈকতের শহর কক্সবাজারমুখি। এখন ভর পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সমুদ্র শহর কক্সবাজার এখন লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

 

পর্যটকদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দের ঢেউ যেন আঁচড়ে পড়েছে বালিয়াড়ির সৈকতে। এতে কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীর, খালি নেই সোয়া পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোন কক্ষ। আর কাঙ্খিত সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় দারুণ খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।


আরও পড়ুন: ঘুমধুম থেকে ১০০জন বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর


এদিন বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা মিলে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের। যারা সাগরের নীল জলরাশি আর বালিয়াড়ির সৈকতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। পুরো সৈকত জুড়ে বাঁধভেঙ্গে পড়েছে পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ঢেউ। এতে নানা বয়সী পর্যটকের আনাগোনায় পুরো সৈকত যেন রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে।


ভ্রমণে আসা পর্যটক মাহমুদ রফিক জানান, সমুদ্র তীরে শীতের আবহ আর নেই। নেই গরমের ভাবও। এ সময় সমুদ্র উপভোগ যেন ভিন্ন এক আনন্দের। পরিবার পরিজনকে সাথে নিয়ে ভ্রমণ খুবই মজার হচ্ছে।


রাহেলা আনোয়ার নামের এক নারী পর্যটক জানান, সমুদ্র শান্ত। এখানে নোনাজলে শরীর ভেজা আর সৈকতে ঘুরা-ফেরা খুবই আনন্দের। তাই বারবার কক্সবাজার আসতে মন চাই।


আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকালে ২ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠালো বিজিবি


কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী সোয়া ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলের কোন কক্ষ খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে। শুক্রবার কক্সবাজারে অন্তত সোয়া লাখের বেশী পর্যটক সমাগম ঘটেছে। এতে সবক’টি হোটেল-মোটেলের কক্ষ শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগামী মার্চে রমজানের আগ পর্যন্ত পর্যটক আগমনের এ চিত্র অব্যাহত থাকবে।


সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলী জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যটকের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন।


আরও পড়ুন: চকরিয়ায় বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের


তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের বার্মিজ মার্কেট, নান্দনিক সৌন্দর্য্যের মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝর্ণা, ইনানী ও পাথুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ বিহার, ডুলহাজারা সাফারী পার্ক এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। তবে শনিবার থেকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।


এমএল/