ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা হলে থাকে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত: নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:০৯ অপরাহ্ন, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা হলে থাকে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত:  নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ
ছবি: প্রতিনিধি

সজীবুর রহমান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেছেন৷ ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা হলে থাকে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ছাত্ররাজনীতিতে নেতৃত্ব যিদি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় তাহলে গণরুম থাকবে না।


শনিবার (১০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন চত্বরে ছাত্র_শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 


আরও পড়ুন: জাবির আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংগবদ্ধ ধর্ষণ



তিনি আরো বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হলে সংকট বেশি। ফার্স্ট ইয়ারে, সেকেন্ড ইয়ারে এক ভয়াবহ অমানবিক পরিবেশে তাদের থাকতে হয়। পরবর্তীতে এই খারাপ পরিবেশে থাকার ফল তাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারহীনতা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে৷ একটা বিচার না হলে আরেকটা অপরাধ সংঘঠিত হয়।


আরও পড়ুন: বাঁচতে চায় জাবির কর্মচারী নজরুল



সমাবেশে নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ইস্যুতে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘৭ তারিখে সিন্ডিকেটে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম নিপীড়ক শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। ভিসি বলেছিলেন স্ট্রাকচারাল কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে করতে হবে। একজন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখবার যে পায়তারা চলছে, আমরা তা রুখে দাঁড়িয়েছি—তাকে বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৪২ তম ব্যাচকে বগলদাবা করে ৪৫, ৪৬, ৪৭ ব্যাচকে বের করে দেয়ার এই নাটক কি আমরা বুঝি না? আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার— এই ক্যাম্পাসকে আমরা অবৈধ ছাত্রমুক্ত, ধর্ষক মুক্ত ও মাদক মুক্ত করতে চাই।


 ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, এই সাধারণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কখনো তাদের স্বপক্ষে একবারও দাঁড়ায়নি। এ যাবতকালে ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত- সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না, তাতে ছাত্রলীগ এই ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সাথে যুক্ত ছিলেন তারাই হলগুলোতে প্রভোস্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন? অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। প্রভোস্টদেরকেও এই ঘটনায় জবাবদিহিতায় আনতে হবে।


সংহতি সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ পাঁচদফা দাবি উত্থাপন করেন। 


এ সময় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিনেট সদস্য ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দিন খান,পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


জেবি/এসবি