শিক্ষক লাঞ্চনায় জড়িতদের শাস্তি চায় ইবি শাপলা ফোরাম


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


শিক্ষক লাঞ্চনায় জড়িতদের শাস্তি চায় ইবি শাপলা ফোরাম
ছবি: জনবাণী

মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি : শিক্ষক লাঞ্চনা, শিক্ষকদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাপলা ফোরাম। 


সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার সহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ভিসির সামনেই লাঞ্চনার শিকার শিক্ষকরা


এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগ কেন্দ্র করে আমরা প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপচার্য কক্ষে উপস্থিত হয়। এসময় আমরা দুইজন মাত্র শিক্ষক কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারপর কিছু অছাত্র এবং বহিরাগত প্রবেশ করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানা হুমকিধামকি দেয়। এই ঘটনার পর গত ১১ তারিখ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয় নি প্রশাসন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শাপলা ফোরামের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আজকে এখানে সমবেত হয়েছি। আমরা চাই এখন পর্যন্ত যেসব দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে তার সঠিক তদন্ত হওয়ার পর সঠিক নিয়ম মেনে নিয়োগ চলমান হোক।


আরও পড়ুন: ইবিতে ভ্যান চালাতে চালকদের নিবন্ধন দিয়েছে প্রশাসন


সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সিদ্ধান্তের মিটিংয়ে আমাদের উপস্থিত অনেক শিক্ষকবৃন্দ অপমানিত হয়েছেন। সবকিছুতেই যদি উপরের নির্দেশ থাকে তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে না। এর আগে আমরা শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। সেই আল্টিমেটামের টাইম শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই অগ্রগতি হয় নি। অফিসিয়ালি এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ম্যাসেজ বা তথ্য পাই নি। সে আলোকে আজকে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে।


এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের প্রস্তাব অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষক সমিতির মিটিংয়ে সতন্ত্রভাবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্তে যদি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি স্থির না থাকে তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।


আরএক্স/