নোবিপ্রবিতে মধু কবির দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৯ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


নোবিপ্রবিতে মধু কবির দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ছবি: জনবাণী

কাউছার আহমেদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে মধু কবি খ্যাত মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও নাট্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।


আরও পড়ুন: নোবিপ্রবিতে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের সংবাদ সম্মেলন


বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. চন্দন আনোয়ারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। মধুসূদন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে আসন অলংকৃত করেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহানুজ্জামান। বাংলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।


“উনিশ শতকের বাংলা নবজাগরণের বরপুত্র মাইকেল মধুসূদন দত্ত” শীর্ষক আলোচনা সভায় মধুসূদন বক্তা অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, দেশব্যাপী মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে। তার সাহিত্য রচনার মূল সময়কাল ছিল মাত্র চার বছর। অথচ তিনি ঝড়ের বেগে বাংলা সাহিত্যে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।


শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমাদের ক্ল্যাসিক মধুসূদন পড়তে হবে এবং নিজের মধ্যে একজন দ্রোহী মধুসূদনকে লালন করতে হবে। মধুসূদনের যে ত্যাগ, তিতিক্ষা আর জীবনাচরণ তা ধারণ করতে হবে।


আরও পড়ুন: ডি-নথি যুগে নোবিপ্রবি


সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দন আনোয়ার বলেন, আমরা নোবিপ্রবিতে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে মধুকবি মাইকেলের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি। আশা করছি নোবিপ্রবির উদ্যোগে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন সাহিত্যিকদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ যেমন শিলাইদহ, সাগরদাঁড়ি ইত্যাদিতে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হবে।


পরে বাংলা বিভাগের শিক্ষাথীদের অংশগ্রহণে নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসন দুটি প্রদর্শিত হয়।


আরএক্স/