বসন্তের উৎসব ঘিরে শ্রীপুরে জমজমাট ফুলের বাজার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২০ অপরাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


বসন্তের উৎসব ঘিরে শ্রীপুরে জমজমাট ফুলের বাজার
ছবি: প্রতিনিধি

ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতই না আয়োজন। যার মূল অনুষঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল। সব আবেদন, অনুরাগ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের বড় মাধ্যম ফুল। এবছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে হওয়ায় গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।


শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা ভাই ভাই সিটি মার্কেটের ফুলের দোকানদার মোহাম্মদ আশরাফ আলী  বলেন, ফুল বিক্রি ভালোই হচ্ছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যার দিকে এ বিক্রির সংখ্যা আরও বাড়বে। এবছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস একসাথে হওয়ায় ফুল বিক্রির পরিমাণ অন্যান্য বছরের চেয়ে আরও বেশি হবে।


আরও পড়ুন: মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ



উপজেলার জৈনার বাজার উপ শহর মার্কেটে  গড়ে ওঠা ছোট-বড় ১৫ টি ফুলের দোকানে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি, গ্লাডিওলাসসহ নানা প্রজাতির ফুল বিক্রি হচ্ছে।


ভালোবাসা দিবসে সবাই প্রিয়জনকে দিতে চায় তাজা গোলাপ, বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে খোপায় বাঁধে গাঁদা ফুল।


বুধবার (১৪ ফেব্রয়ারি) উদযাপিত হবে বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফুল কেনার আগাম বায়না করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।


বরমী বাজার  ফুল ব্যবসায়ী  আমির আলী জানান, আমার ফুলের দোকানে পাইকারি ও খুচরা ফুল বিক্রি করা হয়। আগামী দুইদিনে  লাখ টাকার ফুল বিক্রি করার আশা করছেন এ ফুল ব্যবসায়ী।


মাওনা চৌরাস্তা কিতাব আলী প্লাজার  ফুল ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন  বলেন, ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবে রজনীগন্ধার কলির মালা ও মাথার রিং, গোলাপ ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ইদানীং একগুচ্ছ জারবেরা কিনতেও ফুল প্রেমীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: শ্রীপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন প্রতিমন্ত্রী রুমানা

তবে কিছু কিছু মৌসুমি খুচরা বিক্রেতা বিভিন্ন বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে বাড়তি দামে ফুল বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।


পিয়ার আলী  বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের শিক্ষার্থী নাছিমা আক্তার বলেন, আগে যে ফুলের দাম ছিল ১০০ টাকা এখন তা নিচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতিটি ফুলের দামই বেশি চাচ্ছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।


আরএক্স/