Logo

চিকিৎসার অভাবে বাবা হারানো ৩ যমজ ভাই পেলেন মেডিকেলে চান্স

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ২৪:৩১
68Shares
চিকিৎসার অভাবে বাবা হারানো ৩ যমজ ভাই  পেলেন মেডিকেলে চান্স
ছবি: সংগৃহীত

। একটা সময় তাদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভালো চিকিৎসার অভাবে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

বগুড়ার ধুনট উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামটিতে  ৩ জমজ এখন দেশের তিন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের এক ভাই গত বছর এবং অপর দুই ভাই এবার চান্স পেয়েছেন।

তারা উপজেলার নবির উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও পরে বগুড়া সরকারি কলেজ শাহ সুলতান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। একটা সময় তাদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভালো চিকিৎসার অভাবে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ৩ যমজ ভাইয়ের মধ্যে মাফিউল হাসান ২০২৩ সালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে এবং এবার সাফিউল হাসান দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এবং রাফিউল হাসান নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিন ছেলের সাফল্য নিয়ে তাদের মা আরজিনা বেগম জানান, ২০০৯ সালে ওদের বাবা গোলাম মোস্তফা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন ওদের বয়স ৫ মাস। বাবার স্নেহ মমতা কিছুই পায়নি ওরা। একপর্যায়ে তিন সন্তানকে পড়ালেখা করানো নিয়ে অনেক বিপাকে পড়ি। নিজে কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ওদের পড়ালেখা করিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫ বিঘা জমি ছিল। ওদের বড় করতে বাবার বাড়ির জমিও বিক্রি করে দিয়েছি। বাকি যা আছে তাও প্রয়োজনে বিক্রি করব। তবুও ওদের ডাক্তার বানাব। যাতে আমাদের মতো গরিব মানুষদের সেবা করতে পারে। আমি কত খুশি হয়েছি প্রকাশ করতে পারব না। গ্রামের লোকজন ওদের যখন দেখতে আসে তখন বুক ভরে যায়।

বিজ্ঞাপন

ধুনট নবির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিন ভাই একসঙ্গে স্কুলে আসে। শিক্ষকদের কাছ থেকে দোয়া চায়। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি। তারা মিষ্টি নিয়ে এসেছিল। ওদের মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া আমাদের স্কুলের গৌরব ও সুনামের।

বিজ্ঞাপন

গত শিক্ষাবর্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া মাফিউল হাসান জানান, আমরা তিন যমজ ভাই বগুড়ায় মেসে একই সঙ্গে থেকে সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়েছি। মা, কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করিয়েছেন। কখনোই আমাদের কষ্ট করতে দেননি। বথুয়াবাড়ি গ্রামের মধ্যে আমরাই প্রথম মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। এর আগে আর কেউ সুযোগ পায়নি। খুবই ভালো লাগছে আমরা তিন ভাই ডাক্তার হব।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত সাফিউল বলেন, “আজ বাবা থাকলে কত খুশি হতেন। বাবাকে হারিয়েছি শিশুকালে। এখন মা আমাদের বাবার অভাব পূরণ করেছেন। মানুষের সেবা করার জন্য যাতে চিকিৎসক হতে পারি সবার কাছে এ দোয়া চাই।”

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া রাফিউল ইসলাম বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় বাবা মারা যান। যখন বিষয়টি জানতে পারলাম তখন থেকেই তিন ভাই ডাক্তারি পড়ার প্রতিজ্ঞা করি। গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করব। বাবার মতো যেন কাউকে অকালে ঝরে পড়তে না হয়।’

বিজ্ঞাপন

জেবি/এসবি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD