এটিএম বুথে জালিয়াতি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কর্তৃপক্ষের নরজদারির অভাবে এটিএম বুথে জালিয়াতি বাড়ছে। র্যাব বলছে, বুথে সিসি ক্যামেরা থাকলেও মনিটরিং নেই, আর সেই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকরা। ফেইস ডিটেকশনসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হলে স্ক্যামিংয়ের মতো অপরাধ রোধ করা সম্ভব, বলছেন আইটি স্পেশালিস্টরা।
প্রযুক্তির সহায়তায় এটিএম বুথ থেকে হরহামেশাই টাকা হাতিয়ে নেয় অপরাধীরা। সম্প্রতি রাজধানীর দুইশোরও বেশি এটিএম বুথ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। যারা বুথে টাকা জমা দেয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল।
র্যাব বলছে, প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা থাকলেও মনিটরিং-এ ছিলো অবহেলা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগায় চক্রটি।
র্যাব পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) কমান্ডার খন্দকার আল মইন বলেন, “তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি রয়েছে। কারণ আমরা এই পার্টিকে শনাক্ত করেছি সিসিটি ফুটেজের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে আসে যে, একই ব্যক্তি দুটি অর্গানাইজেশনেই ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে যদি কাউন্টার মনিটরিং করে তাহলে হয়তো এই ধরনের প্রতারণা হ্রাস পাবে বলে মনে করছি।”
সেন্ট্রাল অথেনটিকেশন সিস্টেম, ফেস ডিটেকশনসহ উন্নত প্রযুক্তি রোধ করতে পারে স্ক্যমিং-এর মতো অপরাধ।
আইটি স্পেশালিস্ট সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “পেস ডিটেকশন থাকবে যা হিউম্যান না রোবট এটা ডিটেক করবে। এটা ডিটেক করার পরই টাস স্কিনিংয়ের কী-বোর্ড বা এটিএম বুথের কীগুলো অ্যাক্টিভেট হবে। সিগন্যাল সিস্টেমের মাধ্যমে ডিটেক করা যায় এখানে কয়জন মানুষ আছে, কতক্ষণ ধরে স্টে করছে। সে অনুযায়ী একটা সেন্টার মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে একটা অ্যালার্ম সিস্টেমে চলে যাওয়া।”
এটিএম বুথ জালিয়াতির সাথে বিদেশি চক্র জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখছে র্যাব।
এসএ/