লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২৫ অপরাহ্ন, ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’- স্লোগানকে সামনে রেখে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি জ্বলে উঠে একসাথে। একটি, দুটি নয়-লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে দিবসটি পালন করে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় নড়াইল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন মাশরাফী
একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান,অতিক্তি পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা,একুশের আলো নড়াইলের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি হাফিজুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার,একুশের আলোর যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু,কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
৬ টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে এক সাথে। কুরিরডোব মাঠে এ সময় ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ১ঘন্টাব্যাপি গণসংগীত শুরু হয়। এবার মাঠে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন উপভোগ করে। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন দেখতে আসা বাপ্পি ইসলাম জানায়, ‘অনেক মোমবাতি এক সঙ্গে জ্বালিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও ভাষা শহীদদের স্বরণ করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর
নুসরান সুলতানা জানান, নিজে আনন্দ উপভোগ করতে এবং বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি অনেক ভালো লাগছে আমার।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ ব্যতিক্রমি এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।
আরএক্স/