জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে রিকশা ভাড়ার নৈরাজ্য


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫১ অপরাহ্ন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে রিকশা ভাড়ার নৈরাজ্য
ছবি: জনবাণী

সজীবুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে রিক্সার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। লিও ক্লাব অফ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ওয়ান প্লাসের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে কিছু মেইন পয়েন্টে ব্যানার লাগানো হয়। কিন্তু রিকশা ব্যবসার সাথে জড়িত রাতের অন্ধকারে কিছু দুষ্কৃতিকারী দ্বারা (৩৫ টি) ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।


বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিগত কয়েক বছর ভর্তি পরীক্ষার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাত্রাতিরিক্ত রিকশা ভাড়া আদায় করায় এবছর ভর্তি পরীক্ষায় লিও ক্লাব অফ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ওয়ান প্লাসের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২১-০২-২০২৪ তারিখ প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত রিক্সা ভাড়ার ৩৫টি ব্যানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে  টানানো হয়।


আরও পড়ুন: এক যুগ ধরে অযত্নে ইবির প্রথম শহীদ মিনার


এদিকে ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বল্প দূরত্বের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট থেকে এক রিক্সায় উঠে ফার্মাসি বিভাগে পৌঁছার পর বিশ টাকা দিলে রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তিনি ১০০ টাকা দাবি করেন। পরে রিক্সাওয়ালার সাথে অবিভাবকের বাগবিতণ্ডা শুরু হলে কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে চলে আসে পরবর্তীতে ৫০ টাকা দিয়ে রিক্সাওয়ালাকে বিদায় করা হয়। আলবেরুনী হল, পুরাতন কলা ভবন, বিজনেস স্টাডিস অনুষদ, শহীদ রফিকথজব্বর হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ এই জায়গাগুলোতে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করার তথ্য পাওয়া যায়।


ব্যানার ছিড়ে ফেলার ব্যাপারে লিও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ বলেন, বহিরাগতদের সুবিধার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লিও ক্লাব ওয়ান প্লাস এর পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পরিক্ষার আগেরদিন সারারাত কাজ করে ব্যানার গুলো স্থাপন করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে ৩৫ টি ব্যানার  লাগানো হয়েছিল। সবগুলো হলের সামনে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, মুরাদ চত্বর,  প্রধান গেট,  বিশ মাইল গেট, প্রান্তিক গেট, সবগুলো ফ্যাকাল্টি  সামনে, শহীদ মিনার, টিএসসি, চৌরঙ্গী, টারজান পয়েন্ট লাগানো হয়েছে। এখন সবগুলো জায়গায় ব্যানার গুলো ছিড়ে ফেলা হয়েছে। দুই থেকে তিন চারটা ভালো আছে। নাম না জানা এক ব্যক্তি জানায় তিনি টারজান পয়েন্টে এক প্যাডেল চালিত রিক্সা চালক কে এসব ছিড়তে দেখেছেন। একজন সাধারণ রিকশাচালক ক্যম্পাসের ভেতর ব্যানার ছিড়ে ফেলার সাহস পায় কিভাবে! ধারণা করা হচ্ছে যারা রিক্সা চালায় এবং এই রিকশা ব্যবসার সাথে যারা জড়িত আছে তারা এ কাজটি করেছে।


আরও পড়ুন: অবশেষে জাবির সি‌ন্ডি‌কেট সভায় নিপীড়ক শিক্ষক জ‌নি স্থায়ীভাবে বহিষ্কার


প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, আমি আজ  দুপুরেই জেনেছি। আমি খোঁজ লাগিয়েছি। ব্যানার ছিড়ে ফেলার  তথ্য সঠিক। আমি সবই অবগত আছি। আমি টোটাল সিকিউরিটি লাগিয়ে দিয়েছি। আজকে রাতে যারা ডিউটিতে আছে তাদেরকে বলে দিয়েছি গোপন তথ্যের মাধ্যমে সবকিছু খুঁজে বের করতে।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আ স ম  ফিরোজ-উল- হাসান বলেন, এই ক্লাবের সাথে আমার কখনো কথা হয় নাই। আমি জানিনা তারা কোথায় কোথায় কি জিনিস লাগিয়েছে। তবে লিও ক্লাবের উপদেষ্টা বিকেলে আমাকে ব্যানার ছিড়ে ফেলার তথ্য জানিয়েছিল। আমার কমিটিকে বলে দিয়েছি তারা খোঁজ নিচ্ছে। তাছাড়া এই চার্ট  কোথায় লাগিয়েছিল কি লাগিয়েছিল এগুলো আমি জানি না। আমার সাথে যোগাযোগ করে লাগিয়েছে বলে মনে হয় না। যোগাযোগ করুক আর না করুক তবে এটা একটি ভালো কাজ। আমি লিও ক্লাবের কাজটা কে  সাপোর্টা দেয়ার চেষ্টা করছি। তারা ভাল কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল করার চেষ্টা করছে আমরা এটাকে এপ্রেসিয়েট করি।


আরএক্স/