অবশেষে জাবির সিন্ডিকেট সভায় নিপীড়ক শিক্ষক জনি স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৯ অপরাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সজীবুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিন্ডিকেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলশ্রুতিতে বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় রাত নয়টায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নৈতিক অসচ্চরিত্রতার দায়ে মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মাহামুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে এক নারী প্রভাষকের অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথোপকথনের ২৭টি অডিও প্রকাশিত হয়। যেখানে মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর তথ্য উঠে আসে। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ‘সত্যাসত্য যাচাই’ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে তোলা হলে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ হয়নি বলে ‘স্পষ্টীকরণ’ কমিটি করা হয়। এই কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে ‘স্ট্র্যাকচার্ড’ কমিটি করা হয়। কমিটি হওয়ার পর ছয় মাস পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাচ্ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জাবিতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে ৩১০কোটি টাকার টেন্ডার
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, আমরা নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের আন্দোলন বিরতি ঘোষণা করা হলো। আমরা সকল অবরোধ উঠিয়ে নিলাম। সুষ্ঠভাবে ভর্তি পরিক্ষা সম্পুর্ণ হলে আমাদের যে অবশিষ্ট দাবিগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আবার আমরা আন্দোলনে নামবো।
আরএক্স/