৪ টি মৃত ‘মা কচ্ছপের’ সাথে ভেসে এল মৃত ডলফিন ও রাজকাকড়া


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৬ অপরাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


৪ টি মৃত ‘মা কচ্ছপের’ সাথে ভেসে এল মৃত ডলফিন ও রাজকাকড়া
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলে এবার মৃত ভেসে এসেছে ৪ টি মা কচ্ছপের সাথে একটি ইরাবতী ডালফিন ও একটি রাজকাকড়াও।


রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে এসব সামুদ্রিক প্রাণী ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।


আরও পড়ুন:  সৈকতে মৃত ‘মা কচ্ছপের’ মিছিল, একদিনে মিলেছে ১৭ টি


তিনি বলেন, সকালে হিমছড়ি সৈকতের একটি ইরাবতী ডলফিন ও একটি রাজকাকড়া মৃত ভেসে এসেছে। এর মধ্যে ডলফিনটি ৬ ফিট লম্বা এবং প্রায় ১২০ কেজি ওজনের। এছাড়া দরিয়ানগর প্যারাসেইলিং পয়েন্টে ২টি এবং হাজমপাড়া, টেকনাফ সৈকতে দুইটি মৃত অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এসবের নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে দেয়া হয়েছে।


এনিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মৃত ভেসে এসেছে ৯৬ টি মৃত মা কচ্ছপ। এর মধ্যে ১১ দিনে পাওয়া গেছে ৫২ টি মৃত মা কচ্ছপ। যার মধ্যে ৭ শতাধিক ডিমও সংগ্রহ করা গেছে জানিয়েছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুঁতোয় পেছানো এবং আঘাত প্রাপ্ত। উপকুলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের ফেলে দেয়া জাল, রশিতে পেছিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এসব কচ্ছপের মৃত হয়েছে।


এর আগে (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে মৃত ভেসে আসে আরও একটি ইরাবতী ডলফিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস। এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটা সৈকতেও মৃত পাওয়া গেছে একটি ডলফিন। নতুন করে রবিবার সকালে পাওয়া গেল আরও একটি ডলফিন।


এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।


আরও পড়ুন:  সৈকতে আরও ২টি মৃত ‘মা কচ্ছপ’; পেটে ১৮৫ ডিম


তিনি বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একের পর এক সামুদ্রিক মা কচ্ছপ সহ সমুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী ভেসে আসার ঘটনায় গভীরভাবে চিন্তিত হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানী। মুলত সাগরে কি হয়েছে তা স্বচক্ষে দেখতে গভীর সাগরে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানী।


বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে গভীর সাগরের পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।


আরএক্স/