বিয়ে না দিলে লেখাপড়াই করবে না ১৩ বছরের কিশোর!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৫৮ অপরাহ্ন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিয়ে না দিলে লেখাপড়াই করবে না বলে পরিবারকে চাপ দিয়েছিল পাকিস্তানের ১৩ বছর বয়সের এক কিশোর। সেই কারণে বাধ্য হয়ে তার মা-বাবা তাকে বাগদান করিয়েছেন। বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়, ভিডিওটির ছেলেটির বয়স ১৩ বছর, সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আর মেয়েটির বয়স ১২ বছর, সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই কিশোর হঠাৎ তার পরিবারের কাছে দাবি করে, বিয়ে না দিলে সে আর স্কুলে যাবে না। আর এমন দাবির মুখে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালিতে সেতু থেকে বাস নদীতে পড়ে প্রাণ গেল ৩১ জনের
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতেই বাগদান সেরেছে দু’জনে। বর-কনের বাবা-মায়েরাও তাদের ছেলে-মেয়ের আংটি বদল হতে দেখে বেশ খুশি।
এই বিয়ে নিয়ে নেটজনতাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন ভিডিও বাল্যবিবাহে প্ররোচিত করবে বলে মত তাদের।
তাদের পরিবারের লোকজন জানান, ছেলেটি মেয়েটিকে বেশকিছু দিন ধরে পছন্দ করে ফেলেছে। এর ফলে সে বাবাকে বলে, তার বিয়ে না দিলে সে আর স্কুলে যাবে না। ছেলের আবদার ফেলতে পারেননি বাবা। ধুমধাম করে বাগদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কারাগারে বসেই এবার ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত ইমরান ও তার স্ত্রী
নেট জনতার সমালোচনার উত্তরে ওই কিশোর-কিশোরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, লোকেরা তাদের বিয়ে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে তারা ভাবতে নারাজ। বাগদানের পরও তারা নিয়ম করে স্কুলে যাবে। দু’জনের জন্যই পড়াশোনা শেষ করা সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে জানায় তারা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে আইন অনুযায়ী বিবাহের সর্বনিম্ন বয়স পুরুষদের জন্য ১৮ বছর আর নারীদের ১৬ বছর। তবে সিন্ধু প্রদেশ ২০১৩ সালে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ করে একটি আইন পাস হয়। তবে তা এখনো কার্যকর করা হয়নি।
জেবি/এসবি