কারাগারে বসেই এবার ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত ইমরান ও তার স্ত্রী
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৪১ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে দেশের একটি আদালতে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকেও।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক ডনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন পাকিস্তানের ৭১ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবই অস্বীকার করেছেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সরকার গঠন ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ
ঘুষ গ্রহণের নতুন এই অভিযোগটি করা হয়েছে আল-কাদির ট্রাস্ট নিয়ে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি মিলে তৈরি করেছিলেন এই ট্রাস্টটি।
প্রসিকিউটরদের দাবি, ট্রাস্টের নামে ইসলামাবাদ থেকে কিছুদূরে ৬০ একরের একটি দামী জমি হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি ও তার স্ত্রী। আরও অভিযোগ আনা হয়েছে, পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ও সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হোসেনের কাছ থেকেও একটি জমি ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান তিনি। এরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। ইমরান খানকে ওই নির্বাচনের আগেও বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। যার মধ্যে তিনটি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। একইসাথে আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকেও। জাতীয় নির্বাচনের আগে কেড়ে নেওয়া হয় পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীকও। এতসব বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসনে বিজয় লাভ করে ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআইয়ের পিটিশন দায়ের
তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দাবি করেছে, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ইমরানকে আরও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করার অর্থ হলো যে শাসকরা তাকে আরও দীর্ঘ সময়ধরে কারাগারের ভেতরে আটকে রাখতে চায়।
এমএল/