নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআইয়ের পিটিশন দায়ের


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআইয়ের পিটিশন দায়ের
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের এতদিন পার হলেও পাকিস্তানের কোনো দল এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।


শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে দলটি।


এই পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। কিন্তু বিভিন্ন কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের বিজয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে দায়ের করা পিটিশনে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সিইসি ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি


সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেওয়ার তথ্যটি শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। এসময় তিনি আরও জানিয়েছেন, এই পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।


এর আগে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন আলী খান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। তবে সেদিন এই আবেদনকারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় সেই পিটিশন বাতিল ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসাথে আলী খানকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।


বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির দায় স্বীকার, পাকিস্তানে নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ


পাকিস্তান পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, এর মধ্যে ভোট  হয়েছে ২৬৫টি আসনে। দেশটিতে কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে বিজয়ী হতে হবে।


কিন্তু ভোট গননা শেষে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসনে। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ শরীফ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসনে, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসনে, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসনে এবং বিভিন্ন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।


অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসনে জয় পায়নি। এই অবস্থায় দেশটিতে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন ও পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন ও পিপিপি; সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর দেশটির রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।


এমএল/