পাকিস্তানে সিইসি ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:১৭ অপরাহ্ন, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


পাকিস্তানে সিইসি ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা ও প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইসার পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)।


শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়, শনিবার রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাত্তা সংবাদ সম্মেলন করে ভোটে জালিয়াতি করার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, পরাজিত প্রার্থীদের নির্বাচনে বিজয়ী বানানো হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান বিচারপতি। এ অভিযোগ করে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। 


লিয়াকত আলি চাত্তার এই প্রেস সম্মেলনের সাথে সাথেই তোলপাড় হতে থাকে পাকিস্তান। ইমরান খানের পিটিআই ভোটে জালিয়াতির যে অভিযোগ তুলছিল তা আরও গতি পায়। লিয়াকত আলির এই বক্তব্যকে প্রমাণ হিসেবে সামনে এনে পাকিস্তানে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিটিআই ও তার মিত্ররা। এই অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।


আরও পড়ুন: মোবাইলে গেম হেরে গিয়ে নিজের গলায় ব্লেড চালালেন যুবক!


অপরদিকে, রাওয়ালপিন্ডির পদত্যাগী কমিশনার লিয়াকত আলির মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। দলটির অন্যতম নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দুনিয়া নিউজকে বলেছেন, “কমিশনার লিয়াকতকে মনে হচ্ছে একজন ‘সাইকো’। এ জন্যই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেন, লিয়াকত আলি যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তাতে পিটিআইয়ের অবস্থানকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য করা হয়েছে।”


আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর বাড়িতে ফিরলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী


পিটিআইয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার স্বীকার করেছেন যে, বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কমপক্ষে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। তাদের সেই বিজয়কে পরাজিতের বিজয়ে পরিণত করা হয়েছে। লিয়াকত আলির বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে পিটিআইয়ের বক্তব্য ঠিক। পিটিআই বলে আসছে তার দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অধিক সংখ্যক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। ফলে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র এসব প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে রাতারাতি সংখ্যালঘু বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই মুখপাত্র আরও দাবি করেন, দ্রুত নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উচিত পিটিআইয়ের কাছ থেকে চুরি করা ৮৬টি আসন ফিরিয়ে দেয়া। জনগণের ম্যান্ডেট যারা চুরি করেছেন এর সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তিকে সংবিধান ও আইনের অধীনে শাস্তির দাবি করেন ওই মুখপাত্র।”


লিয়াকত আলির ওই ঘোষণার পর পার্লামেন্টারি কমিটির মিটিং করেছে পিটিআই। পরে তারা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা ও প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইসার পদত্যাগ দাবি করেছেন।


জেবি/এসবি