সততা ফোয়ারা ও পানির প্ল্যান্ট চালুর দাবিতে ইবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


সততা ফোয়ারা ও পানির প্ল্যান্ট চালুর দাবিতে ইবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও
ছবি: জনবাণী

মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সততা ফোয়ারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত পানির প্লান্টগুলো পুনরায় চালুর দাবি জানিয়ে ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  


বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবনের দুতলায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থানের পর প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে শিক্ষার্থীরা।


আরও পড়ুন: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে বসন্ত উৎসব


এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সততা ফোয়ারাটি উদ্বোধন করেন। এছারাও এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাদ্দেস হানিফ টলিন ভাই এবং প্রশাসনের যৌথ অর্থায়নে এটি সেসময় নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে এটি অবহেলায়, অযত্নে পড়ে আছে। এছাড়া নিরাপদ পানির জন্য একাডেমিক বিল্ডিং গুলোতে অনেক টাকা খরচ করে পানির প্লান্ট তৈরি করা হয়েছিলো। সেগুলোও বানানোর কয়েক বছরের মধ্যে অকেজো হয়ে রয়েছে। এখন আমাদের জন্য বানানো প্লান্ট থেকেই যদি আমরা কোনো পানির সুবিধা না পাই তাহলে এতো খরচ করে এগুলো বানানোর কি প্রয়োজন ছিল?


আন্দোলনে অবস্থানরত শিক্ষার্থী গালিব বলেন, কোনো লুকোচুরি হবে না, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে চালু করুন। বিশুদ্ধ পানি পান করার ব্যবস্থা করুন। অতি দ্রুত ব্যবস্থা করে কার্যকর ভূমিকা নিন। না হলে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।


আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের পদ অবনমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিবাদ


রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বনি আমিন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় এখন দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষে ভরপুর। আমরা তাদের দূর করে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যারা পরিবেশ নষ্ট করতে চায় তাদের শক্ত হতে জবাব দেব। 


এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে আমি উপস্থিত ছিলাম। তাদের দাবির সাথে আমরাও একমত। বিষয়টি মানববন্ধনের পরপরেই প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুতই এর সমাধান নিশ্চিত হবে।


আরএক্স/