বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশ্ব শান্তির অন্তরায়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশ্ব শান্তির অন্তরায়

কোনো একটি প্রাণী যদি আক্রমণাত্মক প্রতিযোগিতা মূলক কোনো লড়াইয়ে একবার জিতে যায়, তবে সেটা তাকে পরবর্তীতে একই ধরনের বা তার চাইতে বেশি আক্রমণাত্মক লড়াই জেতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। শুধু সম্ভাবনাই বাড়ে না,সেই প্রাণী আবার একই ধরনের খেলা বা লড়াইয়ে যেতে উদ্বুদ্ধও হয়। এ রকম ক্ষেত্রে হেরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা দেয় ঠিক উল্টো ফল। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে এর পেছনে রীতিমতো শরীরবৃত্তীয় কারণ আছে। আক্রমণাত্মক প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ে জেতার ফলে অন্যান্য প্রাণী কিংবা মানুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন তাকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রলুব্ধ করে। যাইহোক ফিরে আসা যাক মুল কথায়, প্রচণ্ড পশ্চিমা চাপের মুখেও ইউক্রেনকে আক্রমণ করে ফেলা পুতিনের এক ধরনের প্রাথমিক বিজয় তো বটেই। পুতিন ভেবেছিলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করে কয়েক দিনের মধ্যে কিয়েভসহ পুরো দেশে সর্বময় কর্তৃত্ব নিশ্চিত করে একটি পুতুল সরকার বসাবেন। সেই সরকারকে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অর্থনৈতিক জোট ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন (ইএইইউ) এবং সামরিক জোট কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনেরও (সিএসটিও) সদস্য বানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত হলে রাশিয়ান বাহিনীর মূল অংশ ফিরে যাবে দেশে। 

কিন্ত পুতিনের সে আশা কতটুকু সফল হবে,তা সময়ই বলে দেবে। সম্ভবত পুতিনের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য বাল্টিক প্রজাতন্ত্র গুলো। বাংলাদেশের অনেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তি দিচ্ছেন এটা বলে যে রাশিয়া কেন তার সীমান্তের একটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রকে মেনে নেবে। তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই এটাও যুক্তি হবে এর মধ্যেই রাশিয়ার সীমান্তের বাল্টিক তিন দেশ যেহেতু ন্যাটোর সদস্য হয়েই আছে তাই সেগুলোতে আক্রমণ করার ন্যায্য অধিকার আছে পুতিনের। এখানে কার যুক্তি কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার সময় এখনই।

তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন যে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এটা একটি অপরাধও। এই অপরাধ কেবল মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের পক্ষসমর্থন করে সই করা লোকদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে না, এটি খোদ রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, মিডিয়া এবং বিশ্লেষক যথার্থই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘৃণ্য আচরণের সমালোচনা করছেন। বেশ জোর দিয়ে তাঁরা পুতিনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু পুতিন এখন যা করছেন তা শুধু ঘৃণ্য বিশেষণে সমালোচনা করে উড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়। তিনি এখন ভয়ংকর কাজ করছেন। এই আক্রমণটি হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কলিং কার্ড এবং যুদ্ধাপরাধ হলো তাঁর স্বাক্ষর।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নথিতে রাশিয়ার সেনাদের নির্বিচারে এবং অসামঞ্জস্য পূর্ণভাবে বেসামরিক বস্তুতে বোমা বর্ষণ ও গোলাবর্ষণ এবং যোদ্ধাদের ওপর জেনেভা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে নির্যাতনের রেকর্ড আছে।পশ্চিমারা বরাবরই পুতিনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের জবাব নম্রভাবে দিয়েছে। রুশ বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধগুলোও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আইসিসি ২০১৬ সালে জর্জিয়ায় নৃশংসতা এবং ২০২০ সালে ইউক্রেনে সংঘটিত অপরাধের জন্য তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্ত শেষে আইসিসি রায় দিয়েছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যুক্তিসংগত ভিত্তি আছে। আইসিসি রায়ে বলেছিল, সেখানে যে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য।তারপর আছে সিরিয়া। এক দশক ধরে সেখানকার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রমাণ থাকার পরও পুতিন বাশারকে সমর্থন করেছেন। 

এমনকি সিরিয়ায় রুশ বিমানবাহিনী হাসপাতালে পর্যন্ত বোমা মেরেছে এবং তাঁরা যুদ্ধে হতাহতদের উদ্ধারে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের পর্যন্ত আক্রমণ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের গঠন করা সিরিয়া সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাশিয়া জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকাতেই যেন পুতিনের মন ভরছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রুশ ভিন্নমতাবলম্বীদের বিষ প্রয়োগে মারা এবং গণতন্ত্রপন্থী ও মানবাধিকার সমর্থকদের কারারুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আছে। পুতিনের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ আছে তার মাত্রা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।গণতন্ত্র সম্পর্কিত মৌলিক সংজ্ঞার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনীতিক ক্ষমতার অধিকারী হয় জনসাধারণ। জনসাধারণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই রাজনীতিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে।এই রাজনীতিক ক্ষমতার ব্যবহার বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। যেমন: অংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতা  এবং স্বাধীনতা। সুতরাং গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ সংজ্ঞায়িত রূপ হল অংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতা এবং স্বাধীনতার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতিক ক্ষমতার ব্যবহার।গণতন্ত্রের এই সংজ্ঞা বিষয়ীগত। এই সংজ্ঞায় ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের এই সংজ্ঞা উদারনীতিবাদের মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জসপূর্ণ। অনেক রাষ্ট্রদার্শনিক উদারনীতিক গণতন্ত্র প্রত্যয়টি প্রয়োগের পক্ষপাতী। এ হল এমন এক রাজনীতিক ব্যবস্থা যা অংশগ্রহণ,প্রতিযোগিতা ও স্বাধীনতা-কে উন্নীত করে। উদারনীতিক মতাদর্শের মধ্যেই উদারনীতিক গণতন্ত্রের মূল নিহিত আছে।উদারনৈতিক গণতন্ত্র হল এক বিশেষ ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এর মধ্যে উদারনৈতিক দর্শন, চিন্তা ও ভাবধারা প্রতিপন্ন হয়। 

অপরদিকে জাতিসংঘের আলোচিত প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া পাঁচটি দেশ রাশিয়া,বেলারুশ,উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া-সব রাষ্ট্রই স্বৈরাচারী। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা দেশের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র আছে পাঁচটি-ভারত, মঙ্গোলিয়া,নামিবিয়া,দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। হাইব্রিড রেজিম নয়টি- আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, এল সালভেদর, মাদাগাস্কার, পাকিস্তান, সেনেগাল, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে। আর স্বৈরাচারী দেশ আছে ২০ টি-চীন, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, কিউবা, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ইরান, ইরাক, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মালি, সুদান, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া, দক্ষিণ সুদান, তাজিকিস্তান ও ভিয়েতনাম।এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নবিরোধী ব্রিটেনের উগ্র ডানপন্থী নেতা, ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটোর ক্রমাগত সম্প্রসারণ একটি ভূরাজনৈতিক ভুল। ২০১৭ সালে ফ্রান্সের আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় মেরি লা পেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিলেন, ক্রিমিয়াকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করা রাশিয়ার জন্য যৌক্তিক। এর জেরে ইউক্রেন তাকে কালোতালিকাভুক্ত করেছিল।এবার রাশিয়ার সর্বাত্মক ইউক্রেন আগ্রাসনকে নিন্দা করলেও তিনি এক বক্তব্যে বলেন, মাখোঁ রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নন, বরং ন্যাটোর দূত হিসেবে কাজ করেছেন। বিশেষ করে ভারত যে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ পেতে মরিয়া, সেটা বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে আলোচনায় আছে সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাতের ক্ষেত্রে রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রত্যাশার কথা। সম্প্রতি সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে, যদিও তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল অসাধারণ উষ্ণ।

কিন্ত বর্তমান বিশ্বে রাজনীতির কৌশল আর আমেরিকার আন্তর্জাতিক নীতি সরাসরি সাংঘর্ষিক। এই অঞ্চলে চীনকে ঠেকাতে ভারতের অংশীদারত্ব অতি জরুরি বলে সম্পর্ক একেবারে খারাপ হয়ে না পড়লেও নরেন্দ্র মোদির দল আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এত সহজে পথ চলতে পারবে না।যাইহোক বর্তমান যুদ্ধ ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক ব্যবস্থা কেমন হবে সেটার ওপরেও একটা বড় প্রভাব ফেলবে। ইউক্রেন থেকে যদি একটা উল্লেখযোগ্য বিজয় নিয়ে পুতিন ফিরে যেতে পারেন,তাহলে সেটা বিশ্বের স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর শাসকদের নিশ্চিতভাবে বার্তা দেবে কাদের সঙ্গে থাকতে হবে। স্বৈরশাসকেরা আরও নিশ্চিত হবেন কাদের সঙ্গে থাকলে দেশ, দেশের মানুষ গোল্লায় গেলেও তাঁদের নিজেদের ক্ষমতা আরও পোক্ত করতে পারবেন।ন্যাটো যদি রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়, তাহলে ন্যাটোর প্রধান অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোকে তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে চাপ দেওয়ার অস্ত্র আদৌ কতটা কার্যকর হবে, সেই সংশয় খুব জোরালোভাবে তৈরি হবেই। পুতিনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক একনায়কতন্ত্র বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ক্ষমতাবান মানুষদের তালিকা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার, পরপর চার বার (২০১৩-২০১৬) এক নম্বর প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন পুতিন। অর্থনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতাকে এক সাথে বিবেচনা করলে নিশ্চিতভাবেই রাশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ নয়ই, তার অবস্থান হবে বেশ নিচে। কিন্তু ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ হিসাবে তাঁর এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ আসলে পুতিন সেই রাষ্ট্রের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী।একনায়কতন্ত্রের নানা রূপ আছে। এটা হতে পারে একটি পার্টির,একটি পরিবারের কিংবা একজন ব্যক্তির। পরিবার কিংবা পার্টির একনায়কতন্ত্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তত কয়েক জন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকে।

কিন্ত ব্যক্তিকেন্দ্রিক একনায়কতন্ত্রে সেটা থাকে না। সেই কারণেই একনায়ক তন্ত্রের আলোচনায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক একনায়কতন্ত্রকে সবচেয়ে খারাপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলে মানা হয়।পুতিন একজন ব্যক্তিকেন্দ্রিক এক নায়ক। তাঁর দেশে দ্বিতীয় কোনো মানুষ নেই যিনি তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য শক্তিশালী চাপ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দোনেস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করার আগে পুতিন তাঁর নিরাপত্তা কাউন্সিলের যে সভাটি করেছিলেন, সেটা টিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। ভিডিওটি ইউটিউবে পাওয়া যায়; দেখলেই বোঝা যাবে তাঁর সামনে অন্য অতি উচ্চপদস্থরা কেমন কাঁচুমাচু আচরণ করেন।

রাশিয়ার মিডিয়া প্রায় পুরোপুরি পুতিনের নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর নিজে দেশের মিডিয়াকে তাঁর মতো করে সংবাদ প্রকাশের চাপ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। রাজনৈতিক তো বটেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকেও কঠোর হাতে দমন করা হয়, যা ইউক্রেনে আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশ থেকে গণগ্রেফতারের ঘটনায় আবার দেখা গেল। এক্ষেত্রে আমরা স্মরণ করব ভিয়েতনামে আমেরিকার বর্বর যুদ্ধটি বন্ধ হওয়ার পেছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আমেরিকার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। রাশিয়ায় এমন পরিস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই পুতিন হয়ে উঠেন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী এবং প্রভাবশালী মানুষ। তিনি ক