ফি সমন্বয়সহ তিন দফা দাবিতে ইবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১৩ অপরাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৪
মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফি সমন্বয় বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনটি করেন। এসময় মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারক লিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কাছে জমা দেন।
আরও পড়ুন: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে বসন্ত উৎসব
এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই খেতে খাওয়া পরিবারের সন্তান। তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবেই ফি বাড়িয়েছিলো। এসময় আমরা ২০১৭-১৮ এবং ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের প্রতিবাদের মুখে তখনকার ভিসি স্যার আমাদেরকে ফি সমন্বয় করার আশ্বাস দিয়েছিলো। এবং পরবর্তী সেমিস্টার থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে প্রজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমরা এখন সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র তুলতে একাডেমিক অফিসে গেলে আমাদের ফি এখনো বকেয়া আছে বলে জানানো হয়। সম্পূর্ণ ফি জমা না দিলে আটকে রাখছে সার্টিফিকেটও।
তারা বলেন, আমাদের এই দুই সেশনের ফি নিয়ে যে তালবাহানা শুরু হয়েছে আমরা এর সুরাহা চাই। আমাদের দাবি আমাদেরকে যে ফি ফেরত দেওয়ার বা সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছিলো সেসব ফি সমন্বয় হোক।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের পদ অবনমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিবাদ
এসময় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মৃদুল হাসান রাব্বি বলেন, গত বছরও ভর্তি ফি ও পরীক্ষা ফি সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সমন্বয় ফি জমা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল তবে এখন সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে আটকে রাখতেছে। আজকের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু সমন্বয় করা হয়নি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট টাকাগুলো ফেরত দেওয়া এবং অনতিবিলম্বে সমন্বয় করা হোক। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে আমরা সার্টিফিকেট তোলার সময় হল ফি ডিউ থাকে, ৪-৫ বছরের হিসাব আমরা রাখব নাকি প্রশাসন রাখবে? রশিদ দেখাতে না পারলে পুনরায় টাকা দিতে হচ্ছে। তাহলে এত বছর পরীক্ষা দিতে দিলো কেন? নিশ্চইয় এখানে একটা কারচুপি আছে, নইলে ১ম বর্ষে না বলে সার্টিফিকেট তোলার সময় আটকায় কেন? সমাধান না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে নামবো।
এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি আমি গ্রহণ করেছি।আমরা আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্বান্ত নিবো।
আরএক্স/