দীর্ঘদিন পড়ে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০৮ অপরাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৪


দীর্ঘদিন পড়ে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
ছবি: জনবাণী

জানুয়ারি থেকে মার্চ- এ তিন মাস স্বভাবতই কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ অনেক বেশি থাকে। গত কয়েক সপ্তাহে সেটা দাঁড়িয়েছে তিন গুণে। এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বেশি। পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা বলছেন, একটি সপ্তাহ পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান শুরু হবে। দীর্ঘ ১ মাস ঘর থেকে তেমন কেউ বের হন না। তাই এ সপ্তাহে উপচে পড়া ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা।


সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা ছুটে চলছেন কুয়াকাটার নান্দনিক স্পটগুলো। কেউ কেউ সৈকতে ঢেউয়ের মিতালিতে মেতে উঠছেন। কেউ নিজের ভ্রমণকে স্মৃতি হিসেবে রাখতে তুলছেন সেলফি। সৈকতে পেতে রাখা বেঞ্চে পর্যটকরা বসে উপভোগ করছেন সৈকতের সৌন্দর্য। সৈকতনির্ভর ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিক্রিও বেড়েছে বহুগুণ।


আরও পড়ুন: শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভাল কুয়াকাটা’


স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ার পরপরই কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সারাদিনই পর্যটক আসে তবে সাপ্তাহিক ছুটি ও বিশেষ দিনে সেটি তিনগুণ হয়।


ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আফতাব বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর একটা জায়গা। ঢেউ, বালু আর এখানকার ব্যবস্থাপনা সবকিছুই মুগ্ধ করেছে। তবে ছোট ছোট গাড়ির ভিড়ে হাঁটাই দায়। এগুলো বন্ধ করা দরকার।


ঢাকা থেকে আগত পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, ক্যামেরাম্যানদের এক ধরনের সিন্ডিকেট আছে। ছবি তোলার সময় বলে আপনার পছন্দসই নিবেন, পরে ওদের ইচ্ছেমতো নিতে হয়। এ ছাড়াও ধুলোয় রাস্তায় বের হওয়া যায় না।


ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, রমজান মাসে পর্যটকরা ‍সাধারণত বের হয় না। তাই অনেক পর্যটক রমজানের আগে একটু ঘুরতে এসেছেন।


আবাসিক হোটেল সি গোল্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আল-আমীন মুসুল্লি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের হোটেল রিজার্ভড হয়। রমজানের আগে হয়তো এটাই শেষ আগমনী পর্যটকদের।


আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার


হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদ হাসান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে পর্যটকরা কম সময়ে কুয়াকাটা সৈকত দেখতে পারে। এখন পর্যটকরা দিনে এসে দিনেই চলে যায়। যে পরিমাণে পর্যটক কুয়াকাটা আসে তাদেরকে ভালো সার্ভিস দেওয়ার মতো এখনো সে মানের হোটেল গড়ে উঠেনি। পর্যটকদের উপস্থিতি ভালো। আমরা সব সময় পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিত করি।


কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, পুরো সৈকতে আমাদের প্রশিক্ষিত পুলিশ মোতায়েন আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত। যাতে কোনো রকমের হয়রানির শিকার না হয় পর্যটকরা।


আরএক্স/