জাবিতে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪


জাবিতে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: জনবাণী

সজীবুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষন নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।


রবিবার(৩ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের মোট পাঁচটি দাবির মধ্যে একটি দাবি আংশিক আদায় হলেও এখনো সবগুলো দাবি মেনে নেয়া হয়নি। বাকি চারটি দাবি আদায় করার নিমিত্তে এই মানববন্ধন করেছেন তারা।


আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জাবি ছাত্রদলের ফুলেল শুভেচ্ছা


মানববন্ধনে জার্নালিজম ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিব জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় একজন যৌননিপীড়ক শিক্ষকের বিচার হয়েছে এজন্য আমরা বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করতে পারে নাই। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা, আমরা চাই এটা আজকের মধ্যে রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করা হোক। ভর্তি পরীক্ষার কারনে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ তাদের কর্মসূচি থেকে বিরত ছিল।এটা আমরা আগেই ঘোষনা দিয়েছিলাম যে ভর্তি পরীক্ষার সময় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না। কিন্তু এখনো আমাদের যে চারটি দাবি রয়েছে তা নিয়ে প্রশাসন কোনো কর্ণপাত করছে না। সেই চার দাবিতেই আজকে আমরা মাঠে নেমেছি। আজকে থেকে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।


দর্শন বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ বলেন, সাত কর্ম দিবস পার হয়ে যাবার পরেও কোনো অফিস আদেশ আসেনি সেটার পিছনে কি রহস্য কাজ করতেছে সেটা  আমরা জানতে চাই। আমরা শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এখানে আন্দোলন করতেছি একারনে আমরা ভর্তি পরীক্ষার সময় কোনো আন্দোলন কর্মসূচি দেই নাই। এটা আবারো প্রমানিত হল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ কখনোই কোনো আপোষ করেনি। আজ আমরা এখানে সম্মিলিত হয়েছি দীর্ঘ বিরতির পরে কারন এখনো আমাদের সবগুলো দাবি পূরণ হয়নি, নিপীরক জনির বিরুদ্ধে যে রায়টি দেয়া হয়েছে তার এখনো কোনো অফিস আদেশ আসেনি তার জবাব আমরা চাই। আপনারা  জানেন বর্তমান যিনি প্রক্টর হিসাবে রয়েছেন তিনি তিন টার্ম প্রক্টরের দায়িত্ব  পালন করছেন এবং তিনি নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ডের কথা তার বিরুদ্ধে আসলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সেই রহস্য এখনো আমরা জানি না,সেক্ষেত্রে প্রশাসন কি তাকে ইচ্ছা করেই এসব সুবিধা দিচ্ছে।তদন্তকারী সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় সংগঠন গুলোতে বার বার উঠে আসছে প্রক্টর ও প্রভোস্টের ইনভল্বমেন্ট এর কথা, তারপরেও আমরা দেখেছি প্রক্টর কিংবা প্রাধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি, তবে প্রশাসন কি তাদের বাচাতে চায়। আমরা নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ থেকে দাবি জানাচ্ছি সকল অপরাধীর বিরুদ্ধেই আমরা আন্দোলন করতেছি শুধু একজনের বিরুদ্ধেই নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা যাবতীয় অন্যায় নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর। যতদিন পর্যন্ত এসব অন্যায় অপকর্ম বন্ধ হবে না ততদিন আমরা আমাদের আন্দোলন চলমান রাখব।


আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জাবি ছাত্রদলের ফুলেল শুভেচ্ছা


অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, এ ক্যাম্পাসে সংঘটিত সকল অন্যায়ের বিচার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যতদিন পর্যন্ত এ ক্যাম্পাসে ধর্ষক- নিপীড়ক মুক্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। গুটিকয়েক লোক বাদে ক্যাম্পাসের সবাই নিপীড়ক শিক্ষক জনিকে বরখাস্ত করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে। উপাচার্য গণমাধ্যমের  সামনে তাকে বরখাস্ত করার কথা বললেও সে অফিস আদেশ এখনো আসেনি। আমরা দাবি জানাই এ বরখাস্তের আদেশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে৷ শুধু মুখ বন্ধ করার জন্য কারো বিরুদ্ধে স্টাকচার্ড কমিটি করবেন, কারো বিরুদ্ধে করবেন না- তা হবে না।


আরএক্স/