মঞ্চ তৈরির সাথে সাথেই ৫০০ বৃক্ষ রোপণ করবে প্রশাসন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:২৮ অপরাহ্ন, ৪ঠা মার্চ ২০২৪


মঞ্চ তৈরির সাথে সাথেই ৫০০ বৃক্ষ রোপণ করবে প্রশাসন
ছবি: প্রতিনিধি

মংক্যচিং মারমা, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য ছুটিতে থাকায় তাঁর দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন বৈশাখী মঞ্চ তৈরির সাথে সাথেই আরো ৫০০ বৃক্ষ রোপণ করা হবে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ তৈরির জন্য তিনটি গাছ কাটার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশ করেছেন তার বিপরীতে তিনি এই কথা বলেন।


তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা লাগতেই পারে। একটি গাছ কাটার বিপরীতে আমরা ক্যাম্পাসে অনেকগুলো গাছ লাগিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত প্রগতিশীলতা চর্চার জন্য মুক্ত মঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া মুক্তমঞ্চের পাশে যদি গাছ থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চের মধ্যে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এতে অনেক ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে।


আরও পড়ুন: সাইফ-সালমানের নেতৃত্বে ইবির ঢাকা ছাত্রকল্যাণ


প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের মাঝে বৈশাখী মঞ্চটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মঞ্চটি তৈরির জন্য কাটা হয়েছে তিনটি পুরনো গাছ। গাছগুলো কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও চিত্র প্রদর্শনও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। 


নিজস্ব অর্থায়নে সেই গাছগুলোসহ ক্যাম্পাসে ৫০০'র অধিক গাছ লাগিয়েছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান। গাছ গুলো কেটে ফেলায় হৃদয় ব্যথিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে প্রশাসন যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গাছগুলো আমার হাতে লাগানো হলেও এর মালিকতো আর আমি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় যেহেতু লাগানো হয়েছিলো এর মালিকও প্রশাসন। তবে গাছগুলো না কেটেও মঞ্চ তৈরি করা যেতো। 


এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ বাকি বিল্লাহ বলেন, যারা প্রতিবাদ করতেছে তারা শুধু গাছ কাঁটার জন্য করে না, একটা ইস্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চা নির্মূল করার চেষ্টা করে। এর নেপথ্যে কারা কাজ করতেছে আমাদের ধারণা আছে। যারা ক্ষতি হবে বলে মনে করছে এবং দুই পাশের একাডেমিক ভবনে পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে দাবি করতেছে তাদেরকে বলছি ২৪ ঘণ্টা তো চর্চা হয় না। বিশেষ দিবস বা উৎসব উপলক্ষে হয়ে থাকে।


আরও পড়ুন: ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নেতৃত্বে ড. মাহবুবর ও ড. শেলিনা


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌলশী কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, স্থ্যাপত্য তৈরি করতে গেলে গাছ কাটার প্রয়োজন পড়েই। মুক্তমঞ্চের বিষয়ে আমাদের জানালে আমরা গাছ কাটার প্রশাসনকে জানায়। তখন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, শিক্ষক সমিতি, এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ মঞ্চের পাশে গাছ থাকলে শিকড়গুলো কারণে মঞ্চে ফাটল তৈরি হতে পারে।


আরএক্স/