নিষিদ্ধ বেটিং অ্যাপকাণ্ডে সাকিবের বোনের নাম, যা জানালো বিসিবি


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৪ অপরাহ্ন, ১০ই মার্চ ২০২৪


নিষিদ্ধ বেটিং অ্যাপকাণ্ডে সাকিবের বোনের নাম, যা জানালো বিসিবি
ফাইল ছবি

বেটিং অ্যাপের সাথে জড়িয়ে বেশ কয়েকবারই বিতর্কের মুখে পড়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এবার বেটিং সাইটের সাথে তার বোন জান্নাতুল হাসানের নামও উঠে এসেছে।


জানা গেছে, আলোচিত বেটিং অ্যাপকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতোমধ্যেই ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই নিষিদ্ধ অ্যাপটিতে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিবের বোন জান্নাতুল হাসানের নামও জড়িয়েছে।


এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, আজকে সকালেই এই খবরটি দেখলাম। এখনই আমরা এটি নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে চাই না। সাকিবের সাথে এ প্রসঙ্গে কোনো ধরনের কথা হয়নি।


বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের মন্তব্য, এ বিষয়ে আমার কোনো প্রকার ধারণা নেই।


আরও পড়ুন: আইসিসি থেকে দুঃসংবাদ পেলেন তাওহীদ হৃদয়


অন্যদিকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আমরা ক্রিকেটার সাকিবের বোন বা এই সংক্রান্ত বেটিং অ্যাপ নিয়ে কোনো কাজ করছি না।


ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদের দাবি করেন, তাদের কাছে এই ব্যাপারে কোনো ধরনের তথ্য নেই।


এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন ও আজতাক’র প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।


বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এই অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা এবং সুরুজ চোখানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: অধিনায়ক হয়েই মাঠে ফিরছেন তামিম


ইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১রিপশবঃ.পড়স নামক একটি বেটিং অ্যাপে সুরুজ চোখানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। এবং তিনিই ক্রিকেটার সাকিবের বোনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। সুরুজের দাবি, সেই বিনিয়োগে টাইগার ক্রিকেটারের বোন জান্নাতুল হাসানেরই বড় অংশীদারিত্ব ছিল।


এর আগে, গত বছরে মহাদেব নামের বেটিং অ্যাপে (অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম) বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খবর পায় ইন্ডিয়া টুডে। সেই ঘটনায় ভারতের অনেক রথী-মহারথীর নামও উঠে আসে।


এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ওডিআই বিশ্বকাপে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় এক বছরের জন্য ক্রিকেট তেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর আবার নিষিদ্ধ বেটিং কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। তবে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার পর সেখান থেকে সরে এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়।


এমএল/