ক্যাম্পাসে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলো ‘জাবির বিরিয়ানিওয়ালা’ সাকিব

তিনি ক্যাম্পাসে জাবির বিরিয়ানিওয়ালা নামে বহুল পরিচিত।
বিজ্ঞাপন
ইফতারের বহু ফজিলত রয়েছে। এই ফজিলত আমরা নিজেরা ইফতার করে যেমন অর্জন করতে পারি। তেমনি অন্যকে ইফতার করানোর মাধ্যমেও পেতে পারি। একজন রোজাদার দিনভর রোজা রেখে যে নেকি অর্জন করবেন, সমপরিমাণ নেকি আমাদেরও অর্জিত হবে, যদি সেই রোজাদারকে ইফতার করাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যায়? তারই ধারাবাহিকতায় নেকি অর্জনের প্রত্যাশায় এই রমজানে ক্যাম্পাসের কিছু সুবিধাবঞ্চিত অসহায় রিকশাচালক ও পথচারী রোজাদার মানুষের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সামর্থের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন। তিনি ক্যাম্পাসে জাবির বিরিয়ানিওয়ালা নামে বহুল পরিচিত।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বাদ আসর ক্যাম্পাসের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে, সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে, টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের সামনে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সাকিব হোসেন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিজ সামর্থের মধ্যে নিজ হাতে বিরিয়ানি রান্না করে ৩০জন অসহায়, দরিদ্র ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার রোজাদার মানুষের মাঝে এই ইফতার বিতরণ করেন।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে রান্না করে স্বল্প মূল্যে ক্যাম্পাসে খাবার হোম ডেলিভারি দেন। জাবির বিরিয়ানিওয়ালা নামে তার একটি নিজস্ব ফেসবুক পেইজ রয়েছে। জাবির বিরিয়ানিওয়ালা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে খাবার অর্ডার নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রতিটা হল ও বিভিন্ন পয়েন্টে স্বল্প মূল্য ডেলিভারি চার্জ নিয়ে নিজ দায়িত্বে খাবার পৌঁছে দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ইফতার বিতরণকালে তিনি বলেন, মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। ক্ষুধার্তের যাতনা উপলব্ধির মাস। অন্যের প্রতি সদয় ও সহমর্মিতার মাস। সর্বোপরি মহান রবের পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার মাস। হাদিসে রোজাদারদের জন্য দুটো পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যার একটি হলো ইফতার।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের অনেক দিনের ইচ্ছে থেকে এটি করেছি। আমরা যদি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে একজন মানুষ কেউ ইফতার করাই তাহলেও পৃথিবীটা সুন্দর হতে পারে। ইফতার বিতরণ করার পর আমার মনের ভেতর একটা প্রশান্তি কাজ করতেছে আর আজকের মতো আত্মতৃপ্তি আমি আর কোনদিন পাইনি।
জেবি/এসবি