মাগফিরাতের দশকে যে চারটি আমল বেশি বেশি করবেন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:৩৭ অপরাহ্ন, ২২শে মার্চ ২০২৪


মাগফিরাতের দশকে যে চারটি আমল বেশি বেশি করবেন
প্রতিকী ছবি

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। রমজান মাসকে বিশেষ তিনটি বৈশিষ্ট দ্বারা ভাগ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হলো হাদিস শরীফে বর্ণিত রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত বা ক্ষমার দশক। মাগফিরাতের দশদিন সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহর বড় এক অনুগ্রহ। তাই এ সময় সব রোজাদারকেই নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা অনেক জরুরি।


ইসলাম ধর্মে মাগফিরাতের এই সময় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, এই মাসে যখন একজন রোজাদার সারা বছরের নেকি ও পুণ্যের ঘাটতি পূরণের জন্য অনেক চেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যান এবং মাগফিরাতের ১০টি দিন মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তখন আল্লাহ তার গোনাহ খাতা মাফ করে দেন।


রমজান মাসের মাগফিরাত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে যেটা বলা হয়েছে, মাগফিরাত অর্থ হলো ক্ষমা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের অসংখ্য গুণাবলির মধ্যে অন্যতম একটি গুণ হলো তিনি দয়ালু ও ক্ষমাশীল। এ জন্য আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নামের মধ্যে অপর একটি নাম হলো ‘আল-গাফুর’। আর ‘গাফুর’ শব্দের বাংলা অর্থ ‘ক্ষমাশীল’। বান্দা যেন তার সারা বছরের গুনাহ খাতা থেকে মুক্তি পেতে পারে, এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন রমজান মাসের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন।


আরও পড়ুন: ফিতরা নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার


তাই মাহে রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিন অর্থাৎ মাগফিরাতের ১০ দিন আমাদের করণীয় হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমালাভের জন্য বেশি বেশি তওবা করা। কারণ, এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সকল মানুষ ভুলকারী। আর ভুলকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো যে তওবাকারী।’ (বায়হাকি)


মাগফিরাতের দশ দিনে যে চারটি কাজ অবশ্যই করণীয়


মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার কাছে আসো এবং আমার সাথে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাক, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার নিকট আসব।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪০)


এ মাসে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলে, গরিব-দুঃখীদের প্রতি দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, নিজে সব ধরনের খারাপ কাজগুলো থেকে দুরে থাকলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া-ইস্তেগফার করলে, মহান আল্লাহ সেটা অবশ্যই কবুল করেন।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এ মাসে চারটি কাজ বেশি বেশি করণীয়। প্রথমটি হলো কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, দ্বিতীয়টি হলো অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার বা ক্ষমা চাওয়া। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাত লাভের জন্য আশা করা এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা।


আরও পড়ুন: যাকাত কীভাবে দেবেন?


কিন্তু তার পরও যে ব্যক্তি রমজান মাস এবং মাগফিরাতের ১০ দিন পেয়েও আল্লাহর কাছ থেকে নিজের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তওবা এবং ইস্তেগফার করেনি, তাদের মতো হতভাগা আর কেউ নেই।


এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাহে রমজান পেয়ে নিষ্পাপ হতে পারল না, তার মতো হতভাগ্য এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই।’


তাই রমজানের দ্বিতীয় দশদিনে মাগফিরাতের এ সময়টাতে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের তাওবা-ইসতেগফার বেশি বেশি করা জরুরি। কারণ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে এ কথা সত্য যে, ইসতেগফার মহান আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয়। যারা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার করবে, আল্লাহতাআলা ওইসব বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।


এমএল/