লবণাক্ত যায়গায় কলা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন ইয়াকুব খান
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের জমিতে বাড়ছে লবণাক্ততা। ফলে সাধারণ জাতের ধানের উৎপাদনও কমছে দিনদিন। আবার লবণ সহিষ্ণু ধান চাষের সুযোগও নেই সব কৃষকের। তবে বসে নেই অনেক কৃষকই। লবণাক্ত জমিতেই করছেন কলা চাষ। লাভও হচ্ছে বছর বছর। রমজান মাসের কলার চাহিদা একদিকে যেমন মিটাচ্ছেন অন্যদিকে অর্থিক লাভবান হচ্ছেন তিনি ।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ইয়াকুব খান ১৫ একর জমি নিয়ে বিপাকেই পড়েছিলেন অনেক বছর ধরে। এই জমিতে একসময় তিনি বছরে দুইবার ধান চাষ করতেন। সার-কিটনাশক বাড়িয়েও ফলন ধরে রাখতে পারেননি তিনি। একসময় বুঝতে পারেন জমির লবণাক্ততাই এর জন্য দায়ী।
বছর পাচেক আগে তিনি ওই জমিতে কলা চাষ শুরু করেন। ১০ হাজার কলা গাছের এখন বিশাল বাগান তার। গেলো ৪ বছর ধরে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে এই বাগান থেকে। জমিতে ধান না হওয়ার আক্ষেপ ঘুচেছে তার।
আরও পড়ূন: গ্রামীণ অর্থনীতিতে খামারিদের নীরব বিপ্লব
ইয়াকুবের এই বাগান এখন কলাপাড়ার অনেকের কাছে মডেল। যাদের জমি নেই তারা বাড়ির আঙিনা বা পতিত জমিতেই শুরু করেছেন কলা চাষ। আর জমিওয়ালা কৃষকরা বাগান শুরু করেছেন এরই মধ্যে।
ইয়াকুব খান বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে ধান চাষ করে লাভবান না হলেও কলা চাষে লাভবান হচ্ছি তাছাড়াও আমার এখান থেকে কলা গাছ নিয়ে এই এলাকার অনেকেই ঝুঁকছেন কলা চাষে আমি সর্বোচ্চ সহায়তা করছি তাদের।
আরও পড়ূন: কুষ্টিয়ায় তুলা চাষের আগ্রহ বাড়ছে
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আর সাইফুল্লাহ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে অনাবৃষ্টি এবং জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কৃষি কর্মকর্তারাও। তারা লবন সহিষ্ণু ধান চাষের উৎসাহ যেমন দিচ্ছেন তেমনি কলা চাষেও উদ্ধুদ্ধ করছেন কৃষকদের।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলসহ অনেক অঞ্চলেই এভাবে কলা চাষ করে জীবন-জীবিকা নিবার্হ করা সম্ভব বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও চাষাবাদের ধরন পরিবর্তনে অনেকেই হচ্ছেন অধিক লাভবান।
জেবি/এসবি