খুলনার জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ক্ষয়ক্ষতি শত কোটি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা এপ্রিল ২০২৪
খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার জাবুসা চৌরাস্তা সংলগ্ন সালাম জুট মিলস এর পাট গুদামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ও নৌবাহিনীর দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় প্রায় ৮ ঘণ্টা পর দিবাগত রাত দেড়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে এদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জাবুসা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় অবস্থিত সালাম জুটমিলের ৩ নম্বর গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় জুট মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন শিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা থেকে ১৬টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এর সঙ্গে নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট, স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর জন্য কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু পাটের গুদামে আগুন লেগেছে, তাই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগেছে। সামনে ও পেছনে দুটি গুদাম রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান, বিকেলে সালাম জুট মিলের ৩ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের দুটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় গুদামে কর্মরত শ্রমিকরা আত্মরক্ষার্থে গুদাম থেকে বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: সাভারে তেলের লরি উল্টে ৫ গাড়িতে আগুন: নিহত ২, দগ্ধ ৭
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বশির আহম্মেদ জানান, ৩ নম্বর গুদামে অবস্থিত একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
জুট মিলের স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালামের দাবি জুট মিলের ৩টি গুদামে ৭৫০ টন উৎপাদিত পণ্য ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার ৩০০ টন কাঁচাপাট ছিল, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি। এ ছাড়া যন্ত্রপাতিসহ আরও অনেক পণ্য গুদামে। আগুনে সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সালাম জুট মিল চালু হয়। এখানে মূলত পাটের সুতা উৎপাদন করা হতো।
জেবি/এজে