বিএনপি নেতাদের শোবার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য: কাদের

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও তারা ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোবার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তাদের তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজকে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশেহারা।”
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
কাদের বলেন, “বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও তারা ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোবার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তাদের তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজকে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশেহারা।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির অভিশাপ দণ্ডিত পলাতক তারেক রহমান। তিনি যতদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে ততদিন দলটি সঠিক পথে আসবে না। বিএনপি ভুলের চোরাবালিতেই আটকে থাকবে। লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন দলের নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছে, তারেক রহমান যতদিন নেতৃত্বে আছে ততদিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না।”
তারেক রহমানের উদ্দেশে কাদের বলেন, “রাজনীতি করবে রিমোট কন্ট্রোলে, এটা কি হয়! সাহস থাকলে দেশে আসুন, রাজনীতি করুন। জেলে যাওয়ার সাহস রাখুন। লন্ডনের ডাকে জনগণ আর সাড়া দেবে না। আজ বিএনপি নেতারাও এই আন্দোলনের ডাককে ভুয়া বলে।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল কথায় কথায় চোখের জল ফেলেন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার ও জেলে বন্দি। কোন কারাগারে তারা বন্দি? আমির খসরু, মির্জা আব্বাস সবাই তো বাইরে। (বন্দিদের) তালিকাটা প্রকাশ করুন। মিথ্যাচার করে জাতিকে আর বিভ্রান্ত করবেন না।”
বিএনপিপন্থী মুক্তিযোদ্ধারা ‘ফ্রিডম ফাইটার বাই অ্যাকসিডেন্ট’ বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আজকে ইতিহাসের সত্যকে জানতে হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে তারা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে গণহত্যা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। তারা এখনও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মেন্ডেট জনগণ থেকে পেয়েছিলেন শুধু বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে একাত্তরের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ মান্ডেট কেবল বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। কাজেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার অন্য কারও ছিল না।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “১৭ এপ্রিলে বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোর কোনো অনুষ্ঠানমালা আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা তা পালন করব। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনাকে আওয়ামী লীগ ধারণ করবে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে। অন্যদিকে বিএনপির নিজেদের মধ্যেই গণতন্ত্রের চর্চা নেই। যাদের নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে কোন মুখে?”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








