কুষ্টিয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় জীব-বৈচিত্র ও চাষাবাদ হুমকির মুখে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:০২ অপরাহ্ন, ২০শে এপ্রিল ২০২৪


কুষ্টিয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় জীব-বৈচিত্র ও চাষাবাদ হুমকির মুখে
গড়াই নদীতে পানি নেই, খালে পরিনত।

কুষ্টিয়া জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা ও গড়াই নদী আজ প্রায় মৃত। আশানুরুপ পানি নেই নদীতে। ফারাক্কার বিরুপ প্রভাবে প্রমত্তা গড়াই এখন পরিনত হয়েছে ছোট খালে। সেই সাথে নেমে গেছে পানির স্তর। পৌর এলাকাসহ কুষ্টিয়া জেলার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ নলকুপে উঠছে না পানি। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এখানকার মানুষের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র, চাষাবাদ, স্বাভাবিক জীবন যাপন পড়েছে হুমকীর মুখে। 


এদিকে তাপমাত্রা প্রতিদন বাড়ছে। খুলনা বিভাগে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৩ ডিগ্রি, খুলনা ৪১.২ ডিগ্রি, সাতক্ষীরা ৪০.৭ ডিগ্রি, মোংলা ৪১.৭ ডিগ্রির, কুষ্টিয়া ৪১.২ ডিগ্রি এবং ইশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে পানির জন্য চলছে হাহাকার। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বলছে, প্রাকৃতিক এই সমস্যা সমাধানে তাদের কিছুই করার নাই। তবে বৃষ্টি হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে এলাকার প্রায় সব নলকুপই হয়ে গেছে অকেজো। যেগুলো কাজ করছে সেগুলোতে পানি উঠছে অতি সামান্য। এক বালতি পানি তুলতে আধাঘন্টারও বেশি সময় লাগছে। কুষ্টিয়া পৌর এলাকা, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি জেলা ও উপজেলাগুলোতেও চলছে পানি সংকট। তবে গড়াই নদীর তীরবর্তী বসবাস কর মানুষের অবস্থা সব চাইতে বেশি খারাপ। পানির সংকট এতটাই প্রকট যে খাবার পানির পাশা পাশি গোসল এবং গবাদি পশুর জন্য পানির ব্যাবস্থা করতে হিমশিম খাওয়া লাগছে। এমন সংকটে এর আগে কখনো পরেননি তারা।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিল দখল করতে গিয়ে গুলি খেলেন কর্মী


কুমারখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, পানির সংকট এতটাই প্রকট যে খাবার পানির ব্যবস্থা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গোসল এবং গবাদিপশুর জন্য পানি সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জিকে সেচ কার্যক্রম বন্ধ দিশেহারা কৃষক


কুমারখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মনে করছেন, যত্রতত্র সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ও ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণেই পানির এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামার সাথে সাথে নদীর পানিও শুকিয়ে যায়। এ কারণে যেসব নলকূপে গভীরতা কম সেগুলোতে পানি ওঠে না। তাই নতুন নলকূপ আরো গভীর করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


জেবি/এসবি