কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিল দখল করতে গিয়ে গুলি খেলেন কর্মী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১২ অপরাহ্ন, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪


কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিল দখল করতে গিয়ে গুলি খেলেন কর্মী
ছবি: প্রতিনিধি

হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের নেতৃত্বে দৌলতপুরে বিল দখল করতে গিয়ে সাহেদ (২২) নামে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। 


শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।


গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাহেদ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থক ও শহরতলীর মোল্লা তেঘড়িয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের জলমহাল (বিল বোয়ালিয়া বিল) দখলকে কেন্দ্র করে বোয়ালিয়া এলাকার বিলের বৈধ দাবীকৃত রাজিব ও মতিনের লোকজনের সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সাহেদ নামে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় দুপক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছেন।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জিকে সেচ কার্যক্রম বন্ধ দিশেহারা কৃষক


এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কথা হলে তিনি জনবাণীকে জানান, বোয়ালিয়া এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজিব ও মতিন দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল(বিল বোয়ালিয়াবিল) দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। আমরা একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা পেয়েছি। তাই শুক্রবার সকালে আমরা সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছিলাম। এসময় হঠাৎ করেই রাজিব ও মতিনের লোকজন আমাদের লক্ষ করে অতর্কিত গোলাগুলি করলে সাহেদ নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে রয়েছি।


এ বিষয়ে রাজিব ও মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।


কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুতপা রায় জনবাণীকে বলেন, সাহেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।


দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, একটি মারামারির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা এটি আমার জানা নেই। 


এমএল/