তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর, বিপাকে জনজীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, ২০শে এপ্রিল ২০২৪


তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর, বিপাকে জনজীবন
ছবি: প্রতিনিধি

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর। কাঠফাটা রৌদ্দুরে, উতপ্ত হাওয়া আর অনাবৃষ্টি মাথায় নিয়ে এখন মেহেরপুরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন পরিস্থিতিতে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের স্বাভাবিক জনজীবন। গেল কয়েকদিন থেকে এই জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত কয়েক দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মেহেরপুর ও পাশ্ববর্তি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। প্রকৃতির এমন বৌরী রুদ্র মূর্তি ও তাপদাহ ইতোপূর্বে দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ।

  

গরমের হাত থেকে বাঁচতে একটু সস্তির নিশ্বাসের খোঁজে সব বয়সের মানুষ যেন হাঁপিয়ে উঠেছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেখা মেলেনি বৃষ্টির। প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যায় বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রচন্ড তাপদাহে মানুষজন বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে। অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে পরিবেশ। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। পানির অভাবে প্রাণিকুলও ছাড়ছে তপ্ত নিশ্বাস।


মেহেরপুর কৃষি ভিত্তিক জেলা। অতিরিক্ত গরমে  নির্ঘুম রাত পার করছেন এই জেলার সাধারণ মানুষ। মেহেরপুরের মাঠ জুড়ে ধান, কচু সহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে মাঠের বিস্তীর্ণ জুড়ে থাকা নানা ধরণের ফসল। খরায় মাঠি ফেটে চৌচির অবস্থা। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে দ্বিগুণ ব্যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুন বেশী সেচ লাগছে জমিতে।  বেড়েছে তীব্র তাপদহ ও ভ্যাবসা গরম যা জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় সন্ধ্যার পরে সাধারণ মানুষরা নদীর পাড় খোলা মাঠ ও বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিচ্ছেন।


আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পাওয়ার টিলার-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১


সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মাঠে কাজ করা কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, গরমের কারনে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। আকাশ থেকে বৃষ্টি না হলে স্বস্তি ফিরবে না মাঠ সহ জনজীবনে। প্রকৃতির এমন বৌরী রুদ্র মূর্তি ও তাপদাহ দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ বলে জানান তারা। 


শহরের ওয়াপদা মোড়ে রিক্সা চালক গনি মিয়া জানান, খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। অতিরিক্ত গরমের কারনে বাজার ঘাটে সাধারন মাণুষের উপস্থিতি কম থাকায় ইজিবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালাকদের আয় কমেছে। সেই সাথে গরমে স্বাভাবিক ভাবে রিক্সা চালানো বেশ কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। একদিকে সূর্যের তাপ অন্য দিকে সড়কের পিচের তাপ যা শরীরে নিতে পারছে না নিম্ন আয়ের এসব মানুষ।


মেহেরপুর পৌরসভার সামনে লেবু পানী পান করে তৃষ্ণা মেটাতে আশা কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এমন গরম গত ১০ বছরেও দেখা মেলেনি এই জেলায়। এতটায় গরম শরীর পুড়ে যাচ্ছে ঘরের বাইরে বের হওয়া বেশ দুস্কর হয়ে পড়েছে।


এমএল/