নবম পে-স্কেলসহ ৬ দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪
নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ৬ দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে ডিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ২০১৫ সালে অষ্টম পে-স্কেল দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পার হলেও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেই। আবার পে-স্কেল ৪ বছর পূর্ণ হলেই সব সরকার মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তাও দেওয়া হচ্ছে না। অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা ছিল। তাও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন যে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে তাও মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস পালন
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালেক্টরেট কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া, ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিষ্টার আলী, সদস্য সচিব হাদিউল ইসলাম শুভ প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ১৬-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া, সহ-সভাপতি মো. ফিরোজ মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারা বেগম, ১১-২০ গ্রেডের চাকুরীজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশই বহাল আছে। বর্তমান মাসিক বেতনের ভাতা দিয়ে কোনো কর্মচারী ১০ দিনের বেশি চলতে পারে না। তাই অতি দ্রুত পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানোর দাবি জানান তারা।
এমএল/