কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত জনজীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১৩ অপরাহ্ন, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪


কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত জনজীবন
ছবি: প্রতিনিধি

সূর্যের প্রখরতা ও তীব্র গরমে পুড়ছে কুষ্টিয়া। অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষের জনজীবন।

 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এই মৌসুমে কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ও চলতি মাসের ২০ এপ্রিল একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 


কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় শুক্রবারে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ৪১ দশিমিক ২ ডিগ্রি, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ডিগ্রি, মঙ্গলবার ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সোমবার ৪০ ডিগ্রি, রবিবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও শনিবার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


কুষ্টিয়ায় টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অব্যাহত তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন।


আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়


স্থানীয়রা বলছেন, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে যারা কাজ করতে বের হচ্ছেন তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। শিশুরাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


এছাড়া, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশায় প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। 


কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, প্রচণ্ড গরমে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে গেছে। এ জন্য গরমের সময় অসুস্থতা থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।


কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মামুন আর রশিদ বলেন, কুষ্টিয়ায় এ মৌসুমে আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড  করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এদিনসহ তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


এমএল/