কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের নেতৃত্বে বহিরাগত, অছাত্র, সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিক্ষকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টরসহ ২০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) মধ্য রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ২০ জন হলো, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকী, আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা ই এলাহি, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদি হৃদয়, ফয়সাল হোসেন, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব হোসাইন, দ্বীপ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জাবির অনুষদ ভিত্তিক ডিন নির্বাচন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ৩০ জন
সভাপতি আবু তাহের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান এর পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা মুর্শেদ রায়হান এর পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলাম এর মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করে। এ সময় আরো অন্তত ২০জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্য কার্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান উক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
আরো উল্লেখ করেন, পরবর্তী সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের উপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টোরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকিধামকি প্রদান করেন। এভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা ও হুমকিধামকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে আমরা প্রায় ৫০ জন শিক্ষক থানায় অভিযোগ করে এসেছি। রবিবার আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে উপাচার্য স্যার নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বারংবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করিয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ অভিযোগের ২০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এমএল/