২৩ নাবিকসহ দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪


২৩ নাবিকসহ দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুর হাতে আটক হওয়ার পর মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। 


সোমবার (২৯ এপ্রিল)  মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে তুলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি। এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।


মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ গত ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একইসঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।”


আরও পড়ুন: এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, জাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক


প্রসঙ্গত, গেল ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।


জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২টি যুদ্ধজাহাজ ও ৩টি টহল জাহাজ।


আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিন!


এর আগে গত  ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


জেবি/এসবি