এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, জাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:০২ অপরাহ্ন, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪
সোমালিয়ান দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। দুইজন নাবিক ফ্লাইটে দেশে ফেরার ইচ্ছে পোষণ করলেও শেষপর্যন্ত ২৩ নাবিক একসঙ্গে ওই জাহাজেই দেশে ফিরবেন বলে মনস্থির করেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। এর আগে রবিবার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।
আরও পড়ুন: অবশেষে দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছাল এমভি আবদুল্লাহ
এদিন সন্ধ্যা আটটার দিকে জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আনা হয়। এ সময় কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। তারা জাহাজে উঠে নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মেডিক্যাল চেকআপ হয়েছে সবার। নাবিকরা ভালো আছেন।
জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ১২টা থেকে কয়লা খালাস হচ্ছে। কয়লার রিসিভার (মালিকপক্ষ) এসে দেখে গেছে। সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। খালাসের কাজ শেষ হতে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। নাবিকরা সুস্থ আছেন। নাবিকরা একসঙ্গে ২৩ জনই জাহাজেই দেশে ফেরার মনস্থির করেছেন। মে মাসের মাঝামাঝিতে তারা দেশে ফিরবেন আশাকরি।
আরও পড়ুন: পারস্য উপসাগরে এমভি আবদুল্লাহ, দুবাই পৌঁছাবে বিকেলে
সূত্র জানায়, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
জেবি/এজে