ফিলিস্তিনকে তার আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে: খামেনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:০০ পূর্বাহ্ন, ২রা মে ২০২৪
ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে তাদের করণীয় কী।
বুধবার (১ মে) শিক্ষক দিবসে (শহীদ মোতাহারির শাহাদাত বার্ষিকী) ইরানের হাজার হাজার শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন স্থানে বন্যা
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, কেউ কেউ মনে করে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে (ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া) সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যদিও ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যাটি ইসরায়েলি অপরাধের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখা সরকারগুলোর দিকেই পরিচালিত হবে।
ওই সমাবেশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ফিলিস্তিনি জাতির সমর্থনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বিশ্বজনমতে গাজা ইস্যুটি অগ্রাধিকার পাওয়ার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অপরাধ এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ঘটনা এই দুই দেশের বিরুদ্ধে ইরানের সরকার ও জাতির অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করেছে। ইহুদিবাদীদের নৃশংস ও নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও ইরানি জাতির অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। তারা ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। এই নৃশংসতা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ঘৃণ্য প্রকৃতির চেহারাই ফুটিয়ে তুলেছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে ইরানের স্থায়ী অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে।
খামেনি ইসরায়েলি অপরাধের প্রতিবাদকারী ছাত্রদের অহিংস ও ধ্বংসবিহীন বিক্ষোভের ঘটনায় আমেরিকা এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থানের আরেকটি প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: চীনে সড়ক ধসে প্রাণ গেল ১৯ জনের
তিনি বলেন, বিষয়টি সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, গাজার জনগণকে হত্যা করার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের সহযোগী। তাদের আপাতদৃষ্টিতে সহানুভূতিশীল কিছু কথাও পুরোপুরি মিথ্যা। তাই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মার্কিন বিরোধী অবস্থান এবং আমেরিকার সরকারের প্রতি ইরানের আস্থা রাখতে না পারার কারণ প্রমাণিত হয়েছে।
খামেনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে তাদের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, ততদিন পশ্চিম এশিয়ার সমস্যার সমাধান হবে না। ইসরাইলের অস্তিত্বকে আরও ২০-৩০ বছরও যদি এভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়... যদিও সেটি সম্ভব হবে না ইনশাআল্লাহ। তারপরও এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
জেবি/এজে