সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি সংকট


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, ৫ই মে ২০২৪


সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি সংকট
ছবি: জনবাণী

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় দিনের মতো জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস। ২৪ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ও কর্মচারীসহ মোট ৫৫ জন কাজ করছে। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে পানি নিতে হচ্ছে। 


রবিবার (৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার। 


শাহজাহান শিকদার জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সকাল ৬টা হতে ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা ও শেওলা নদীর পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, পাম্প বসানোর মতো কোন জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করেছে।


আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দিয়ে সুন্দরবনের আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে


তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে সৃষ্ট আগুনে এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান রয়েছে। জীবজন্তু এবং ঘন বনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পানির উৎস থেকে আগুনের দূরত্ব স্থানভেদে ২.৫ কিলোমিটার হওয়ায় অগ্নি নির্বাপণে পর্যাপ্ত পানির সংকট দেখা দিয়েছে এবং চলাচলের রাস্তা দুর্গম হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সকল ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেওয়ার পর নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও পড়ুন: এবার সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী


জানা যায়, এটি একটি বুশ ফায়ার। বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এখনো আগুন ছড়িয়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন অফিসার ও কর্মচারীসহ প্রায় ২৫০ জম ভলান্টিয়ার কাজ করছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশের সদস্যরা পুরো সময়ব্যাপী অগ্নিনির্বাপণে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিল। নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা প্রশাসন রাতে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। আগামীকাল সোমবার (৬ মে) ভোর ৫-৩০ মিনিটে পুনরায় অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করবে ফায়ার সার্ভিস।


জেবি/এসবি