বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ১০ই মে ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবষের্র স্নাতক শ্রেণির নবীন শিক্ষাথীের্দর প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে শিক্ষাথীের্দর ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান নবাগত শিক্ষাথীের্দর পাঠদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফসানা হক।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে রাজপথে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
অনুষ্ঠানে সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছপালা, জলাশয়, মৎস্য এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ যে সম্পদ আছে, তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিস বা ব্যক্তি আছেন। শিক্ষার্থীরা সেসবে নিজেকে সংযুক্ত করার অপসংস্কৃতিতে জড়াবে না বলে আমি আশা প্রকাশ করি।
প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারনেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এসেছি। দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ১৯৭৭ ব্যাচের উদ্যোগে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান
আসাদুজ্জামান খান, এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারনেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এসেছি। দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই নিজেকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো মনজুরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ আরও অনেকেই।
এমএল/