উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ে নিপীড়ন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ২৬ চীনা কোম্পানি

আর এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর
বিজ্ঞাপন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৬টি চীনা তুলা রপ্তানিকারী কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বেইজিংয়ের কথিত গণহত্যা এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের কোনো তুলা আমদানি করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) এই নিষেধাজ্ঞার প্রঞ্জাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞাপন
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা গেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বিজ্ঞাপন
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে গণহত্যাবিরোধী, আর আমাদের জাতির সরবরাহ চেইনে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যমে তৈরি পণ্য প্রবেশ করবে তা আমরা কখনোই বরদাস্ত করতে পারি না।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর।
বিজ্ঞাপন
ওয়াশিংটনের দাবি, চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর বেইজিং নির্মম অত্যাচার করছে বলে গত কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের সম্পর্কে ব্যাপকমাত্রায় টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর গণহত্যা এবং সেখানকার কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার বেশ সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত ৬৫টি চীনা কোম্পানি থেকে আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।
এমএল/








