রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আরসা’র ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫৫ অপরাহ্ন, ১৯শে মে ২০২৪


রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আরসা’র ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাড়াশী অভিযান চালিয়ে হ্যান্ডগ্রেনেড, ওয়াকিটকি, অস্ত্র ও গুলিসহ আরসা’র চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন পুলিশ।


রবিবার (১৯ মে) ভোর রাত ৩ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এস-১/বি-৭ ব্লকের কাঁটাতারের সীমানার বাইরে গঁইয়াম বাগানে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।


আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তের এপারে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ


গ্রেফতাররাকৃতরা হলো, উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৮১ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের এইচ-১০০ ব্লকের ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৪ ব্লকের আব্দু সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) এবং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১ ব্লকের বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।


গ্রেফতারকৃতরা মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য ও একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামী বলে জানান এপিবিএন এর সহ-অধিনায়ক।


আরেফিন জুয়েল বলেন, রবিবার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার ২০ এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একাধিক দল সাড়াশী অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারিরা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা ৪ জন দূর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম। পরে গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য মতে, আরসা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশী চালিয়ে পাওয়া যায় ৪ টি হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশিয় তৈরী ৭ টি বন্দুক, চার্জারসহ ২ টি ওয়াকিটকি, ৯ টি গুলি, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত ২ প্যাকেট লোহার বল, ২ টি কিরিচ দা ও কয়েকটি হেলমেট।


আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা


এপিবিএন এর সহ-অধিনায়ক জানান, গ্রেফতাকৃতরা সবাই মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজীসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।


অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য বিকালে ১৪ এপিবিএন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে অবহিত করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।


জেবি/এজে