শান্তিময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণ চাই
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ: আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন করছে। এ ৫০ বছর জুড়ে বাংলাদেশের যাত্রা খুব সহজ ছিল না। ভঙ্গুর অর্থনীতি, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সামাজিক বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দূর্নীতির আমাদের চির-বর্তমান সমস্যা, যা প্রচ- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশ এগিয়ে গেছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আজ বিশ্বে এবং জনগণের হৃদয়ে বাংলাদেশের স্থানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময়, সুযোগে পূর্ণ একটি দেশ। কিছু জটিল সামাজিক সমস্যা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং দেশটি দ্রুত বর্ধনশীল, উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং দ্রুত একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলি প্রধানত জিডিপিতে ($৪০৯ বিলিয়ন/অধিক ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা), মাথাপিছু আয় $২,৫৫৪ এর বেশি, গড় আয়ু ৭৩ বছর, বৈদেশিক রিজার্ভ $৪৪ বিলিয়ন, দারিদ্র্যের হার (প্রি-কোভিড-১৯) ২০%, একইভাবে, শিক্ষার ক্ষেত্র, স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং স্বাক্ষরতার হার, লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে অগ্রগতি, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, প্রজনন হার হ্রাস, কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য, একইসাথে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে চলেছে। যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ' উদযাপন করি, তখন আমরা কৃতজ্ঞতার সহিত স্বরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আত্মউৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ শহীদ, আড়াই লক্ষ নির্যাতিত মা-বোন বীরমুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক জনগন যাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। এখনই আমাদের উর্পযুক্ত সময় সমালোচনামূলকভাবে পুনর্বিবেচনা করার যে স্বাধীনতার স্বপ্ন আমরা কতটা ভালোভাবে রক্ষা করেছি, যে স্বপ্নের জন্য আমাদের লখো শহীদ এত মহৎভাবে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন এবং একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার করে তাদের স্মৃতিকে সম্মান করার অঙ্গীকার পুনরুদ্ধার করা। স্বাধীনতা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এ স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের এ মহান অর্জন সমুন্নত রাখতে সংবিধানের চারটি মৌলিক নীতিকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে যেতে হবে। তা হল ১) জাতীয়তাবাদ ২) সমাজতন্ত্র ৩) গণতন্ত্র এবং ৪) ধর্মনিরপেক্ষতা। সংবিধান একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের চেষ্টা করে যেখানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সাম্য ও ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রসমুহ- সব নাগরিকের জন্য সুরক্ষিত থাকে।
এ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি কিন্তু টেকস্ই সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এখনো অনেক কিছুই অর্জিত হয়নি। যেমন সকল নাগরিকের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের সকল অঙ্গে গণতান্ত্রিক চর্চা, বৈষম্যহীন সমাজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবহার ও দূর্নীতি হ্রাস, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা, সামাজিক পরিবর্তনে যুব ও নারীদের সম্পৃক্ততা, শান্তি ও নিরাপত্তা, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন ধর্মীয় বিশ্বাস স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মতামতগ্রহণ সহনশীলতার অনুশীলন, সঠিক ও ন্যায্যতা ভিত্তিক কর্মপন্থা প্রনয়ণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, টেকস্ই জলবায়ু অবকাঠামো ও পরিবেশ বান্ধব উৎপাদন, উন্নয়নে, উদ্ভাবন-অন্বেষণে যুব সমাজকে সম্পৃক্তকরন। বেকার জনগোষ্ঠীকে চাকুরীর অনুসন্ধানের পরিবর্তে উদ্যোক্তা সৃষ্টিকরন, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ কিংবা প্ররোচনায় সহিংসতা ও চরমপন্থাকে নিরুৎসাহিত করা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ হ্রাসকরনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসে বাধা দূর করা, অসহিষ্ণুতা, সংঘাত হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা গ্রহন ইত্যাদি। শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠন ও স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের এসব বিষয়ে গুরুত্বরোপ করতে হবে। একইসাথে আমাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতার মধ্যে জনগণের প্রত্যাশা পূরনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আমরা স্থানীয় ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত শান্তিপ্রণেতাগণ আজ সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত বা মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়ন, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ^াস দৃঢ়করণ, ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রতিপালনে স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা সহ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মিলিত বা ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও এসব মূল্যবোধ এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু শান্তিময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের উন্নয়নে আমাদের প্রকৃত ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
টেকস্ই উন্নয়ন নীতি, সামাজিক শান্তি এবং স্থায়িত্ব আমাদের জাতীয় অগ্রগতির প্রধান হাতিয়ার। এখন, সময় এসেছে আমাদের শান্তিপ্রণেতাগণের ভূমিকা এবং টেকস্্ই সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী উদ্ভাবনী কৌশলগুলি সংযোজন করার। এর জন্য টেকস্ই কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন, যেখানে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের গৃহীত কর্মকান্ডের সুফল ভোগ করবে। এ কারণেই টেকস্ই উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সকলের সম্পৃক্ত হওয়া এবং আমাদের সমস্ত প্রস্তাবিত কর্মসূচীগুলিকে বাস্তবসম্মতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক শান্তি এবং স্থায়িত্ব আনতে আমাদের সমস্ত কর্মসূচী এবং দায়িত্ব যথাযথ পালন করলে অর্থবহ অর্জন অবশ্যই সম্ভব। এটি বিভিন্ন উপায়ে শান্তির সংস্কৃতিকেও প্রচার করে। কিন্তু কোন উপায়সমূহ রাষ্ট্রীয় শান্তি আনে? এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কী কী প্রয়োজন? আমাদের আজকের সংলাপের বিষয়বস্তু ‘শান্তিময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণ’এ আমাদের শান্তিপ্রনেতাগণের দায়িত্ব এবং প্রতিশ্রুতির উপর আলোকপাত করব।
টেকস্ই শান্তির একটি সুস্পষ্ট কার্যকরী সংজ্ঞা যাতে ধ্বংসাত্মক গতিশীলতা প্রতিরোধ এবং ইতিবাচক মনোভাবের প্রচার উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। আমরা টেকস্ই শান্তিকে এমন একটি রাষ্ট্রে কিংবা সমাজে বিদ্যমান হিসাবে সংজ্ঞায়িত করি যেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য ধ্বংসাত্মক সংঘাত, নিপীড়ন এবং সহিংসতা ব্যবহার করার সম্ভাবনা এতটাই কম যে এটি দলীয় কৌশলের মধ্যে প্রবেশ করে না, অন্যদিকে সহযোগিতা, সংলাপ এবং সহযোগিতামূলক সমস্যা সমাধান, ব্যবহার করার সম্ভাবনা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মঙ্গল এত বেশি যে এটি সামাজিক সংগঠন এবং জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। টেকস্ই শান্তি একটি গঠনমূলক সূচনা, শান্তির সংস্কৃতি এবং যতেœর অনুভূতি প্রদান করে যা শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অহিংস উপায়ে তাদের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে, যা শিক্ষার্থীদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের নিরাপত্তা, অন্তর্ভুক্তি, ন্যায্যতা এবং আশার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
আমরা যদি আমাদের পরিবার ও সমাজে শান্তি স্থাপন করি, তবেই আমাদের দেশকে শান্তিময় করে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এখানে পরিবার ও সমাজে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক ও সুশৃঙ্খল আচরণ জরুরি। যেমন আমরা জানি আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বাস করে এবং তাদের প্রত্যেকের প্রকৃতি ও চিন্তাধারা আলাদা। সুতরাং, তারা একে অপরের সাথে ঝগড়া করতে পারে এবং ঝগড়া সময়মতো সমাধান করা উচিত অন্যথায়, এটি সমাজে সমস্যা তৈরি করে যাকে দ্বন্দ্ব বলা হয়। তারপর ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করে বিরোধের সমাধান করাকে শান্তি বলে।
যুদ্ধ ও সহিংসতা বন্ধ না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দেশে টেকস্ই শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি। সমাজ ও দেশে টেকস্ই শান্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। টেকস্ই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
১) অন্যের চিন্তা-চেতনায় সম্মান করা।
২) সবার জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
৩) বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করা।
৪) অন্যের সমস্যা অনুভব করা এবং সমস্যার কথা শ্রবন করা।
৫) সমাজের সকল মানুষকে তাদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৬) লোভ,অহংকার ও ঈর্ষা পরিহার করা।
দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনার জন্য, সালিসকারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবাদমান উভয় পক্ষ এবং গোষ্ঠীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, তবে তাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।
টেকস্ই শান্তি বিনির্মাণের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সাধারণভাবে, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজকে এমন একটি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যেখানে সমস্ত মানুষ মূল্যবান বোধ করে, তাদের পার্থক্যকে সম্মান করা হয় এবং তাদের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করা হয়, যাতে তারা মর্যাদায় বাস করতে পারে। সংক্ষেপে সকল মানুষকে সাধারণভাবে প্রত্যাশিত বা প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা বা উপকরণ সরবরাহ করা হয়, একই সাথে কোনও পক্ষ বা গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নয়। শুধুমাত্র অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি প্রক্রিয়াই সংঘাতের অবসান হতে পারে। বাংলাদেশকে আরও শান্তিপূর্ণ, ন্যায়পরায়ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের প্রত্যাশা। অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে সূতিকাগার হতে হবে তৃণমূল থেকে উত্থিত সক্ষমতা, দেশপ্রেম, সৃজনশীলতা, জ্ঞান চর্চা, মুক্তচিন্তার বিকাশ, সঠিক উপলব্ধি, যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়ন। দারিদ্রতা হ্রাস, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে গত পাঁচ দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও, এখনও সহিংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতা, ন্যায়বিচার ও দুর্বল গণতান্ত্রিক অনুশীলন সহ আমরা বিবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
টেকস্ই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দিকে অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমাদের যাত্রায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না যেহেতু আমরা একটি ন্যায়, প্রগতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খা করি।” জাতিসংঘের টেকস্ই উন্নয়ন এজেন্ডা -২০৩০, যা বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে, পাঁচটি উন্নয়ন অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি হলো শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা। টেকস্ই উন্নয়ন লক্ষ্য-১৬, যা শান্তি ও ন্যায়বিচার, কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর জোর দেয়। বিশেষ করে, সহিংসতার মাত্রা হ্রাস, ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচারের লক্ষ্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। বাংলাদেশের জন্য স্পষ্টতই সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং এটি উৎসাহজনক যে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসডিজিগুলিকে একীভূত করার উপর জোর দিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব টেকস্ই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নাগরিক সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
কোন সামাজিক পরিবর্তন নিজে থেকে ঘটবে না: পরিবর্তন এজেন্টদের, রাষ্ট্র এবং সমাজ উভয়ের মধ্যেই, উন্নয়ন লক্ষ্য-১৬ কে চ্যাম্পিয়ন করতে এবং কার্যকরভাবে এটিকে কাজে লাগাতে হবে। গত ৫০ বছর