কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে সাধারণ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার শহরে সকাল থেকেই একটানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রের পানিও বেড়েছে। জোয়ারের পানিতে শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় শহরের সমিতি পাড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে ছুটছে।

শহরের সমিতি পাড়া থেকে আসা শাহাদাত হোসেন পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

তিনি জানান, শহরের ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় পরিবারের লোকজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন।

আরও পড়ুন: ‘রেমাল’ আংশকামুক্ত সৈকতের রূপ দেখতে মানুষের ঢল

এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু মানুষ আশ্রয়ের জন্য এখানে আসতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

তিনি ছাড়াও সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌরপ্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পরিবার। তার মধ্যে সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক ও বাসিন্না পাড়া থেকে শতাধিক পরিবার এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠায় তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে আসা একাধিক ব্যক্তির থেকে জানা যায়, সন্ধ্যা থেকেই তারা আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তাদের জন্য এখনও কোনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২ হাজার ২০০ সদস্য, ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮টি কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।’

এমএল/