যা যা থাকছে সৌদির নাইটক্লাবের ভিতর


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ২৯শে মে ২০২৪


যা যা থাকছে সৌদির নাইটক্লাবের ভিতর
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে সম্প্রতি চালু হয়েছে নাইটক্লাব। ‘বিস্ট হাউস’ নামের নাইটক্লাবটি নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও যেন কোনো কমতি নেই। কারণ সৌদি আরবের মতো দেশে কীভাবে নাইটক্লাব পরিচালনা করা হবে বা সেখানে কী কী থাকছে, তা নিয়ে কম-বেশি সবারই কৌতূহল আছে।


সৌদির রাজধানী রিয়াদে এ নাইটক্লাবটির অবস্থান। ক্লাবটিকে কথিত ‘নতুন জীবন’ হিসেবেই অভিহিত করা হচ্ছে। আর এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিস্ট হাউজ।’


তবে এই ক্লাবটিতে প্রবেশ করতে হলে খরচ করতে হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এছাড়াও এই নাইটক্লাবের ভেতর মদ্যপান করা যাবে না।


আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ফ্রান্স!


কী কী আছে নাইট ক্লাবটির ভেতর?


নাইটক্লাবটির অভ্যন্তরটির চোখ ধাঁধাঁনো লাইটিং ও দামী আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো। যেখানে বেশ আরাম আয়েস করেই সময় কাটানো যাবে। বহুতল এ নাইটক্লাবটি সৌদির সংগীত এবং সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


এই নাইটক্লাবটির ভেতরে রয়েছে একাধিক স্টুডিও, ডাইনিং এরিয়া এবং প্রোডাকশন রুম। যেখানে রেকর্ডিংয়ের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।


ক্লাবটির ভেতর যান ডিজে এবং সংগীত প্রযোজকরা। তারা সেখানে গান পরিবেশন করেন। আর এগুলো উপভোগ করেন সৌদির তরুণ-তরুণীরা। ইতোপূর্বে বাড়িতেও যাদের পার্টি করার অনুমতি ছিল না।


ক্লাব কর্তৃপক্ষের আশা, এখানে বিদেশি পর্যটকরা আসবেন। কারণ সৌদির অন্য কোথাও পার্টি করার সুযোগ নেই।


আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো স্পেন


এই ক্লাবটি যে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে সেটির প্রধান নির্বাহী রমজান আলহারাতানি গণমাধ্যম আরব নিউজকে বলেছেন, “আমরা দেখছি বিস্ট হাউজ (ক্লাবটি) রিয়াদের সংগীতের প্রধান একটি কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিভার নতুনত্বকে লালন ও বেড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।


তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের  লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলের সংগীতের বিপ্লব ঘটানো।


সৌদির ডিজে তারিক আনতাবি, যাকে আগে ডিজে বাজানোর জন্য বিদেশে যেতে হতো তিনি গণমাধ্যম দ্যা টাইমসকে বলেছেন, “এই ক্লাবটি এখন আমার কাছে সবকিছু। অবশেষে আমার নিজ দেশে আমার প্রতিভা প্রদর্শন করতে পারছি।”


এই ক্লাবটিতে প্রবেশ করতে গুণতে হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ ক্লাবটির সদস্য হতে বাৎসরিক যে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটির সর্বনিম্ন হার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার। তবে অত্যাধুনিক এ ক্লাবটির সর্বোচ্চ সেবা পেতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। যা সৌদির ধন্যাঢ্যদের জন্য মামুলি বিষয়।


আরও পড়ুন: ৫২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে পাকিস্তান


নাইট ক্লাবটিতে প্রবেশ করছিলেন নউফ নামের এক নারী। তিনি স্বীকার করেছেন, আরও বেশি স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য সৌদি ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছিলেন তিনি। কিন্তু এখন নিজ দেশেই এসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।


তিনি আরও বলেছেন, “এটি হচ্ছে নতুন জীবন। আমাদের আবার পুনর্জন্ম হয়েছে। বিশেষ করে একজন নারী হিসেবে।” নউফ তার এক বন্ধুর সাথে ক্লাবটিতে যান।


তবে এই ক্লাবের ভেতর মাদক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যেন এখানে বসে মাদক সেবন করতে না পারেন সেজন্য বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে।


সৌদির ওয়েলথ ফান্ড এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ক্লাবটি খোলা হয়েছে। সূত্র: দ্য সান


এমএল/